ঝিনাইদহের শৈলকুপায় গড়াই নদীতে ভেসে বেড়ানো সেই আলোচিত কুমিরটি আটক করেছে এলাকাবাসী। বুধবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের সুবিদ্দাহ গোবিন্দপুর একটি বাড়ির পাশ থেকে কুমিরটিকে আটক করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, ৩-৪ মাস ধরে গড়াই নদীতে ভেসে বেড়াচ্ছিল চারটি কুমির। এতে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছিল। উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের সুবিদ্দাহ গোবিন্দপুর গ্রামের একটি বাড়িতে উঠে আসে কুমিরটি। এলাকাবাসী বিষয়টি জানতে পেরে মাছ শিকার করা জাল দিয়ে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে কুমিরটিকে। তাদের জালে আটকা পড়ে কুমিরটি। সবাই মিলে কুমিরটিকে রশি দিয়ে বেঁধে ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে এলাকায় ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়ায়।
স্থানীয় বাসিন্দা সোহাগ বলেন, হঠাৎ করে জানতে পারি আমাদের গড়াই নদীতে ভেসে বেড়ানো চারটি কুমিরের মধ্যে একটি কুমির লোকালয়ের একটি বাড়িতে উঠে এসেছে। আমরা সবাই মিলে কুমিরটিকে জাল দিয়ে আটক করেছি।
ঝিনাইদহ বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন দৈনিক রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, গড়াই নদীতে ভেসে বেড়ানো কুমিরটি রাতে একটি বাড়িতে উঠে এলে স্থানীয়রা কুমিরটিকে আটক করে। শৈলকুপা থানা পুলিশ ও ঝিনাইদহ বন বিভাগের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। যেহেতু ঝিনাইদহ বন বিভাগের জনবলের কুমির উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামাদি নেই। সেহেতু আমরা খুলনা বন বিভাগকে বিষয়টি জানিয়েছি। খুলনা থেকে একটি টিম আসছে। তারা পৌঁছে কুমিরটি উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে উপযুক্ত স্থানে অবমুক্ত করবে।
খুলনা থেকে শৈলকুপায় কুমির উদ্ধার করতে আসা বন বিভাগের মৎস্য বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তা মফিজুর রহমান চৌধুরী দৈনিক রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, আমরা খুলনা থেকে রওনা করেছি। আমাদের প্রথম কাজ কুমিরটিকে উদ্ধার করে রেসকিউ সেন্টারে নিয়ে আসা। পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী কুমিরটির প্রজাতি শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে অবমুক্ত করা হবে।