ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫

বিয়ে করার টাকা জোগাতে শিশুকে অপহরণ, অতঃপর...

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৫, ০৪:০০ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

প্রেমিকাকে বিয়ে করতে এবং ঋণের দায় মুক্তির টাকা জোগাড় করতে বাবা-ছেলে মিলে ১০ বছরের পড়ুয়া মাদ্রাসা ছাত্র শাকিলকে অপহরণ করে। পরে মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে শাকিলকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করে বাড়ির পাশে টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে মরদেহ ফেলে মাটি চাপা দেয়। বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন লালমনিরহাট পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলে সোহান ইসলাম (২১), তার বাবা শহিদুল ইসলাম (৪৫) ও মা শাহানা বেগমকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্যমতে মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের ফকিরটারী রতিপুর এলাকায় সেপটিক ট্যাংক থেকে মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযুক্ত সোহানের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মতি মাস্টারের মেয়ে রত্নার সঙ্গে তিন বছরের প্রেমের সম্পর্ক। ঈদের পর রত্নাকে বিয়ে করার কথা। এজন্য প্রয়োজন টাকার। এছাড়া বাবার ঋণের টাকাও পরিশোধ করা জরুরী ছিল। আর সেই টাকা জোগাড় করতে শাকিলকে অপহরণের সিদ্ধান্ত নেয়। কৌশলে শাকিলকে মাটি সরানোর কথা বলে ৩০ টাকা দিয়ে নিজ বাড়িতে ডেকে আনে সোহান।

পরে বাবা শহিদুলের শোবার ঘরে শাকিলকে নিয়ে লুকিয়ে রেখে তার মা জয়নব বেগমকে ফোন করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। শাকিলের মা টাকা না দিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানায়।  এদিকে মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে সোহান ও তার বাবা শাকিলের শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে তার মরদেহ বাড়ির সংলগ্ন টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে মাটি চাপা দেয়।

এদিকে মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে পুলিশ অভিযুক্ত বাবা-মা ও ছেলেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে তারা স্বীকার করলে তাদের দেওয়া তথ্যমতে সেপটি ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

সদর থানার ওসি মোহাম্মদ নূরনবী জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। শাকিলের মরদেহে পেচানো আসামি শহিদুলের ব্যবহৃত লুঙ্গি উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিদের বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।