ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫

অবশেষে নিথর দেহে বাড়ি ফিরলো আছিয়া

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৫, ০৬:৫৮ পিএম

বোনের বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়ে অবশেষে নিহত নিথর দেহ নিয়ে মাগুরায় নিজ গ্রামের বাড়িতে ফিরছে শিশু আছিয়া। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে মাগুরা স্টেডিয়ামে পৌঁছে তার মরদেহ।

এর আগে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় রাজধানীর তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর থেকে সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে রওনা হয় স্টেডিয়াম থেকে অ্যাম্বুলেন্সে তাকে নেওয়া হচ্ছে গ্রামের বাড়িতে।

ঘোষণা অনুযায়ী আজ রাতেই নোমানী ময়দানে সন্ধ্যা ৭টায় তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে দুপুর ১টায় ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আট বছর বয়সী শিশুটি।

শিশুটির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। এছাড়াও আসামিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ দেন তিনি।

এছাড়াও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সংগঠনটির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম আছিয়ার মৃত্যুর সংবাদে ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিষয়ে নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে মাগুরার শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার বিচারকার্য শুরু হবে।

আট বছরের শিশুটি ৫ মার্চ মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে শিশুটিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছিল।

ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে চারজনের নামে মামলা করেন। ধর্ষণের অভিযোগে শিশুটির ভগ্নিপতি সজিব (১৮), সজীবের ভাই রাতুল (১৭), তাদের বাবা হিটু মিয়া (৪২) ও মা জাবেদা বেগমকে (৪০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।