ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দেবরের দায়ের কোপে আহত ভাবী রেশমা খাতুন (৩৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
রেশমা খাতুন উপজেলার ৩ নং দিগনগর ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ জোয়ার্দ্দারের স্ত্রী।
প্রতিবেশীরা জানান, রেশমার স্বামী আব্দুল হামিদের ছোট ভাই নাহিদ হোসেন দীর্ঘদিন মানসিক ভারসাম্যহীনভাবে তাদের সাথে বসবাস করে আসছে। গত রোববার রেশমার সাথে দেবরের কথা কাটাকাটি হয়। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাড়ির উঠানে রেশমা খাতুনকে পড়ে থাকতে দেখে। সেসময় হাতে ও মাথায় আঘাতের চিহ্নসহ দেখা যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এরপরে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়। এরপরেও অবস্থার উন্নতি না হলে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রেশমার মৃত্যু হয়। প্রতিবেশীরা ধারণা করছেন মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় নাহিদ তার ভাবীকে হাতে থাকা দা দিয়ে আঘাত করতে পারে।
মৃত রেশমা খাতুনের স্বামী আব্দুল হামিদের চাচাতো ভাই কামরুজ্জামান বলেন, তার দেবর নাহিদ দীর্ঘদিন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি। মাঝে-মধ্যে তার বুদ্ধিমত্তা একদমই কাজ করে না। রোববার সন্ধ্যার একটু আগে রেশমাকে যখন অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তখন নাহিদ বাড়িতে অবস্থান করছিলো।
শৈলকুপা থানা পুলিশের পুলিশের উপ-পরিদর্শক মনিরুজ্জামান বলেন, অভিযোগ রয়েছে দেবরের হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ভাবী রেশমার মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রতিবেশীরা বলছেন দেবর নাহিদ মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি। বর্তমানে নাহিদ নিখোঁজ থাকায় এ ঘটনার আসল রহস্য এখনই বলা যাচ্ছে না।