টিসিবির পণ্য বিক্রিতে বাধা, বিক্রয় কেন্দ্রে তালা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৫, ০৭:৩৪ পিএম

টিসিবির পণ্য বিক্রিতে বাধা, বিক্রয় কেন্দ্রে তালা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য পণ্য বিক্রিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নের কাতলাগাড়ি বাজারে মেসার্স মামা ভাগ্নে ট্রেডার্সে এ ঘটনা ঘটে।‌ অভিযোগ উঠেছে টিসিবি ডিলারের ঘরে তালা লাগিয়ে দিয়েছিল স্থানীয় ওই যুবকেরা।

মেসার্স মামা ভাগ্নে ট্রেডার্সের ম্যানেজার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি নিয়ম মেনে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রি চলছিল। এসময় কৃষ্ণনগর গ্রামের জহুরুল ইসলাম, ছোট মৌকুড়ি গ্রামের অনিক, নবগ্রামের লুলু শেখ, বড় মৌকুড়ি গ্রামের রাসেলসহ ৫/৭ জন যুবক এসে স্মাট কার্ডে মালামাল বিক্রি করতে নিষেধ করেন। সরকারি নিয়মে মালামাল বিক্রি করার বিষয়টি জানালে তারা আমাকে হুমকি ধামকি দিয়ে টিসিবির গোডাউনে তালা লাগিয়ে দেয়। পরে আমি বিষয়টি আমার মালিককে জানাই।

সারুটিয়া ইউনিয়নের টিসিবির ডিলার ও মেসার্স মামা ভাগ্নে ট্রেডার্সের প্রোপ্রাইটর সোহাগ হোসেন বলেন, সারুটিয়া ইউনিয়নে ১১’শ ফ্যামিলি কার্ড রয়েছে। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশ আছে যে প্রতিটি স্মাট কার্ডের মাধ্যমে পণ্য সামগ্রী বিতরণ করতে হবে। কার্ড ছাড়া কাউকে পণ্য দেওয়া উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সম্পূর্ণ নিষেধ। অথচ বৃহস্পতিবার সকালে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা এসে স্মাট কার্ডের মাধ্যমে পণ্য দিতে নিষেধ করেন। তিনি আরও বলেন, চারজন যুবকের মধ্যে একজন সমন্বয়ক ও আরেকজন জামায়াতের পরিচয় দিয়েছে। আমাদের লোকজন তাদের কথা না শুনলে তাদের উপর চড়াও হয়ে বিক্রয় কেন্দ্রে তালা লাগিয়ে দেয়। পরে আমি বিষয়টি জানতে পেরে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি পুলিশ পাঠিয়ে তালা খুলে পণ্য বিক্রির নির্দেশ দেন।

উপজেলা ফুড ইনস্পেক্টরমোঃ সবুজ আলী জানান, ডিলারের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি জানাই। এটি নিয়ে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। কয়েকজন স্থানীয় যুবক পূর্বের কার্ডধারীদের বিষয়ে সুপারিশ করলে ডিলারের লোকজনের সঙ্গে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। অবশ্য পরে বিষয়টির সমাধান হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত জহুরুল ইসলাম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা আজকে দুদিন ধরে দেখছি বেশ কয়েকজন মহিলা এসে বসে থেকে পন্য না নিয়ে চলে যাচ্ছে। তাদের সাথে কথা বলে জানতে পারি তাঁরা মাইকিং শুনে টাকা খরচ করে আসছে কিন্তু ডিলারের লোকজন স্মার্ট কার্ড না থাকায় তাদেরকে পন্য দিবে না বলে জানিয়ে দেন। এরপর ডিলারের লোকজনের সাথে আমাদের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা দোকান বন্ধ করে চলে যায়।

শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস জানান, ঘটনাটি আমি জেনেছি। পরবর্তীতে সেখানে টিসিবির পণ্য স্বাভাবিকভাবে বিতরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

আরবি/আবু

Link copied!