নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পাঁচ বছরের এক শিশু কন্যাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মনসুর আলী (৩৫) নামক এক ব্যক্তিকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাত ১২ টায় উপজেলার কাঁচপুর পুরান বাজার রায়েরটেক গ্রামের রংপুর গলিতে এ ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, কাঁচপুরের পুরান বাজার রায়েরটেক এলাকার ইছাক মুন্সির ভাড়াটিয়া বাড়িতে গার্মেন্টস কর্মী নুরুজ্জামান তার স্ত্রী ও শিশু কন্যাকে নিয়ে সপরিবার বসবাস করেন। একই বাড়ির ভাড়াটিয়া অভিযুক্ত মনসুর আলী। শিশুটির পিতা-মাতা উভয় গার্মেন্টসে চাকরি করার সুবাদে বাচ্চাকে পাশের বাসার এক নারীর কাছে রেখে যান। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ৩ টার সময়ে বাড়ির উঠানে বাচ্চাটি খেলাধুলা করাকালীন সময়ে তাকে একা পেয়ে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে এক রুমে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন মনসুর আলী।
এমতাবস্থায় ওই বাড়ির অন্যান্য ভাড়াটিয়ারা দেখে ফেলায় বাচ্চাটি রক্ষা পান। পরবর্তীতে শিশুর বাবা-মা কর্ম হতে বাসায় ফিরে এমন খবর জানতে পেরে এলাকাবাসীকে বিষয়টি জানান। একপর্যায়ে এলাকাবাসী রাত ১২ দিকে ক্ষুদ্ধ হয়ে অভিযুক্তকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশ সোপর্দ করে। অভিযুক্তের গ্রামের বাড়ি রংপুরের কোতোয়ালি থানার কাটাবাড়ি গ্রামে।
অভিযুক্তে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামরুল হোসেন।
তিনি বলেন, বাচ্চার বাবা-মা চাকরি থেকে ফিরে আসার পর তাদের কাছে বিষয়টি বাচ্চা জানিয়েছেন। পরে পিতা-মাতা অভিযুক্তকে জিজ্ঞেস করলে সে বিকেলে বাচ্চাটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল বলে তাদের কাছে স্বীকারোক্তিও দিয়েছে। বাচ্চাটির পরিবারের কাছে তার ভাষ্য ছিল শয়তানে তাকে এ কাজ করিয়েছে। এ যাত্রায় তাকে ক্ষমা করে দিতে। পরবর্তীতে বাচ্চার পরিবার এই ঘটনা সম্পর্কে ওই বাড়ির মালিকসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের জানালে তারা গণধোলাই দিয়ে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেন।