মোবাইল ফোনের অপর পাশে ছিলেন স্ত্রী ফাতেমা। কথা বলছিলেন স্বামী খায়রুল বাসার সুজনের (৩৫) সঙ্গে। কিন্তু এই কথাই যে শেষ কথা তা আর কে জানতো! কারণ এই মোবাইলফোনেই স্ত্রীকে বিদায় বলে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন পোশাকশ্রমিক সুজন।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) গাজীপুরের শ্রীপুর রেলস্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুজন কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার কুরশা গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে উপজেলার চন্নাপাড়া গ্রামের জনৈক সুলতানের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে ঢাকাগামী দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন সুজন। এ সময় চলন্ত ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয়। দেহ থেকে পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে শ্রীপুরের স্টেশনমাস্টারকে জানানো হয়।
সুজনের স্ত্রী ফাতেমা বলেন, ‘সকালে একসঙ্গে বাসা থেকে বের হই। পরে আর বাসায় ফেরেনি। বিকেলে কোথায় আছে জানতে ফোন করি। তখন তিনি জানায়, শ্রীপুরে। একটু পর ফোন করে শুধু বলে, বিদায়। তখন আমি শুধু ট্রেনের শব্দ শুনতে পাই। এরপর বারবার ফোন করলে সে ফোন ধরেনি। সন্ধ্যার পর দুর্ঘটনার খবর পাই। ঘটনাস্থলে এসে স্বামীর মরদেহ দেখতে পাই। আমাকে বিদায় বলে সে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়েছে।’
এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার শামীমা জাহান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :