দাগনভূঞায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ৪ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রাথমিকভাবে ওই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোকে ৮ বান্ডেল ঢেউটিন, ২০০ কেজি চাউল, ১৬০ কেজি আলু, ছনা বুট ২০ কেজি, পেঁয়াজ ২০ কেজি, ৮ লিটার তেল ও ৫ কেজি মুড়ি প্রদান করেন। এবং এ পরিবারগুলো যাতে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে তার জন্য সর্বাত্মক সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
আকবর হোসেন বলেন, রাজাপুর ইউনিয়নে আগুন লেগে ৪ ভাইয়ের বসতঘর পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে যাওয়ার খবরটি পাওয়ার সাথে সাথে আমাদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশনা দেন যে এই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে।
আমরা তারেক রহমানের নির্দেশনানুযায়ী আজকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ঢেউটিন ও নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য প্রদান করি। এ সামান্য টিন ও খাদ্যসামগ্রীতে এ পরিবারগুলোর এত বড় ক্ষয়ক্ষতি পূরণ সম্ভব হবেনা। তবে আমরা তাদের এ ক্ষয়ক্ষতি লাঘবে যতটুকু সহযোগীতা প্রয়োজন আমরা এ সহযোগীতা করে যাবো।
যাতে দ্রুত তারা এ ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে। এ সময় ভিড়িও কলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে তাদের সমবেদনা জানান। এবং তাদেরকে পর্যাপ্ত সহযোগীতা প্রদানের আশ্বাস দেন।
এ সময় দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি শাহিন আকবর, রাজাপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, সদস্য সচিব নাসির উদ্দিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বাকী বিল্লাহ, যুগ্ন আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন, বিএনপি নেতা জিয়া উদ্দিন, সোহেল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইমুন হক রাজিব প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বুধবার বিকেলে রাজাপুর ইউনিয়নের আবদুল নবী গ্রামের (পশ্চিম পাড়া) আকু হাজী বাড়ীর সাহাব উদ্দিন ও তার তিন ভাই শাহ আলম, আবুল কালাম ও আবু সাঈদের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে নগদ ৭ লাখ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্রও পুড়ে যায়। বিদ্যুতের মিটার থেকে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে তাদের ৪ ভাইয়ের ৫টি ঘর পুরোপুরি ভস্মীভূত এবং আশপাশের আরও কয়েকটি ঘর পুড়ে যায়।