`করবো নদী সুরক্ষা, উপকূলসহ দেশ হবে রক্ষা, নদীতে প্লাস্টিক ফেলবো না, মৎস্য সম্পদ ধ্বংস করবো না, নদী বাঁচলে দেশ বাঁচবে, তিন মোহনায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের গরম পানি ফেলবো না নদী সহ মৎস্য সম্পদ ধ্বংস করব না, নদী হাসবে, মানুষ বাঁচবে, প্লাস্টিক ছাড়লে দেশটা সাজবে``সহ নানা স্লোগান সামনে রেখে আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস পালিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১৪ মার্চ) বলেশ্বর নদের বালুর মাঠে নদী রক্ষায় মানববন্ধন ও প্রতীকী কর্মসূচি পালন করে জলবায়ু ও পরিবেশ বিষয়ক নাগরিক সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা-ধরা ও পাথরঘাটা উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন।
রুহিতা গ্রামের প্রবীন বাসিন্দা আ. মালেকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, মেহেদী শিকদার, অভিজিৎ মজুমদার রতন, জামাল হোসেন, প্রভু দান প্রমুখ। এতে সংগঠন প্রত্যয়, সিসিসিবি, শিকফা, দৃষ্টি মানব কল্যাণ সংস্থা, সিসিআরসি, তারুণ্যের বাংলাদেশ যুব সংস্থা, রুপান্তর, ইউয়ুথ ফর ক্লাইমেট জাষ্টিসসহ একাধিক স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনসহ তিন শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু অংশগ্রহণ করেন।
আ. মালেক বলেন, প্রতিমুহূর্তই দেখি নদী ভরাট হচ্ছে, দখল হচ্ছে এবং প্লাস্টিক-পলিথিন ভাসছে। এতে যে আমাদের ক্ষতি হয় তা আমরা জানিনা। এখন দেখছি এতে অনেক ক্ষতি হয়। আজ থেকে আমরা অঙ্গীকার করলাম, নদী দখল-দুষন যারা করবে এবং প্লাস্টিক পলিথিন যারা ফেলবে তাদের কঠোর ভাবে দমন করা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা সনু চাপরাশি ও ইব্রাহিম বলেন, বনের গাছ কেটে বন উজাড় করা হয়, নদীর পাড়ে বালু অবৈধভাবে উত্তোলন করা হয় যে কোন সময় বেড়িবাঁধ ভেঙে যেতে পারে।
সমাজকর্মী মেহেদী শিকদার বলেন, আমরা প্লাস্টিক পলিথিন ব্যবহার করব না, বাজার ঘাট করতে গেলে কাপুরের ব্যাগ ব্যবহার করব তাহলেই আস্তে আস্তে পলিথিন ব্যবহার কমে আসবে আমাদের পরিবেশ সুরক্ষা হবে।
উপকূল অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, দেশকে বাঁচাতে হলে নদী রক্ষা করতে হবে। নদী-খাল বিলুপ্ত হলে দেশ রক্ষা করাও অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাই এখনই সময় দেশের সকল নদী-খাল রক্ষাসহ নদী দূষণমুক্ত করা। এ ক্ষেত্রে নদী নিয়ে গবেষণাসহ সরকারকে নতুন নতুন উদ্যোগ নিতে হবে।
মানববন্ধন শেষে নদীর পাড়ে প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জনে সচেতনতার লক্ষ্যে প্রতীকী পরিচ্ছন্নতা অভিযান করা হয়।