মাদারীপুরের শিবচর ইউনাইটেড হাসপাতালের মালিক আপেল মাহমুদের (৪২) বিরুদ্ধে নিজ ক্লিনিকের এক নার্সকে অপহরণ করে কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেলে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আপেল মাহমুদ শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পশ্চিম সেনেরচর এলাকার মৃত চানমিয়া শিকদারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে এর আগেও শিশু ধর্ষণচেষ্টা ও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুরে এক সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন শিবচর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শিবচর ইউনাইটেড হাসপাতালে কর্মরত এক নার্সকে দীর্ঘদিন ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন হাসপাতালের মালিক আপেল মাহমুদ। কিন্তু তিনি তাতে রাজি না হওয়ায়, গত বছরের ২০ ডিসেম্বর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পথে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে তাকে কক্সবাজার নিয়ে যান। সেখানে একটি আবাসিক হোটেলে তিন দিন আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
পরে ২৫ ডিসেম্বর ভুক্তভোগীকে শিবচরে ফিরিয়ে এনে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে ভুয়া বিয়ের নথি তৈরি করে ছেড়ে দেন আপেল মাহমুদ।
এ ঘটনার পর ৩০ ডিসেম্বর ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। পরে তারা মাদারীপুর আদালতের শরণাপন্ন হলে, আদালতের নির্দেশে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি শিবচর থানায় আপেল মাহমুদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে শিবচর থানার এসআই রেনুকা আক্তারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বাহাদুরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
শিবচর থানার ওসি মো. রতন শেখ বলেন, ‘আসামি আপেল মাহমুদ শিবচর ইউনাইটেড হাসপাতালের একজন শেয়ার পার্টনার। কর্মরত এক নার্সকে ধর্ষণের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আজ দুপুরে মাদারীপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, ‘আপেল মাহমুদের বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণচেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তার গ্রেপ্তারে স্থানীয়রা স্বস্তি প্রকাশ করেছে, কারণ তিনি এলাকায় একজন কুখ্যাত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত।’