ঢাকা শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫

এম সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদের দোয়া ও ইফতার মাহফিল

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২৫, ০৪:১৩ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও এম সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা এম নাসের রহমান বলেছেন, আগামীতে যখন নির্বাচনে যাবে দেশ তখন জনগন দেখবে না, যে তুমি পার্লামেন্টে কোন বিল পাশ করেছ, না করনি। এসমস্ত রিফর্ম টিফর্ম না দেখে তুমি আমার এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন কতটুকু করেছ। স্কুল, স্বাস্থ্য খাতে কাজ করেছ কিনা, দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আছে কিনা এসব বিচার বিশ্লেষন করে মানুষ ভোট দিবে।

কারণ দেশে স¤প্রতি এই যে একটা জরিপ উঠে এসেছে, দেশের মানুষের কী প্রত্যাশা। এই জরিপের মধ্যে মানুষের নাম্বার ওয়ান অ্যাফেক্ট হিসেবে চিহ্নিত করেছে, দ্রব্যমূল্যের বৃদ্দি ৭১ পারসেন্ট, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ৪২ পারসেন্ট। এভাবে করতে করতে ইলেক্টোরেল রির্ফম হচ্ছে ৮ নাম্বারে। মানে জনগনের কথা হচ্ছে, এসমস্ত রিফর্মের দরকার নেই।

তোমার রিফর্ম কী করবে, তোমরা দেখ। জরিপে প্রায়োরেটি দশটার মধ্যে ৮ নম্বরে হলো যেটি নিয়ে দেশের মধ্যে এত মারা মারি, কাটাকাটি, চিল্লচিল্ল করা হচ্ছে, আর এটাই জরিপের ৮ নম্বর সাবজেক্টে রিফর্ম। যেটি ইলেক্টোরেল রিফর্ম বলে যোগ করেন তিনি। ১৪ মার্চ শুক্রবার এম সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদ, বাংলাদেশ এর উদ্যেগে মৌলভীবাজারে পাঁচ তারকা হোটেল দুসাই রিসোর্টে ইফতারপূর্ব আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ৩০০ এমপির মধ্যে ২৮০ জনেরই একটা বিল নিয়ে আলোচনা করার সক্ষমতা নেই। এটা শুধু বাংলাদেশ না ইন্ডিয়া, পাকিস্তানেও একই অবস্থা। সংসদে বিভিন্ন আইন নিয়ে বুঝার সক্ষমতা অধিকাংশেরই নেই। কেউ স্টাডিও করেন না। আমি দেখেছি, আমার পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতায়। একটা বিল নিয়ে আলোচনা কিভাবে করতে হবে, এটা আলোচনা করারও সক্ষমতা আনেকের নেই।

নাসের বলেন, এদেশের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যেমন, উপজেলা চেয়ারম্যান যেমন, এমপিও একই রকমের। আমার মনে হয়, পার্লামেন্ট মেম্বারদের রুলের ওপর একটা রিফর্ম হওয়া দরকার। যেমন, পাকিস্তানে আছে নুন্যতম গ্র্যাজুয়েশন ছাড়া এমপি হওয়া যায় না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন এম সাইফুর রহমানের চাচাতো ভাই মো: ফয়সল আহমেদ রহমান, মামোতা ভাই মো: বদরুল আলম, এম সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদের সভাপতি সৈয়দ তৌফিক আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো: আব্দুল মতিন চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা বারের আহবায়ক অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান মুজিব, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক বকসী ইকবাল আহমদ, সদস্য সচিব সৈয়দ হুমায়েদ আলী শাহিন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জেলা সেক্রেটারী মো: ইয়ামীর আলী, মৌলভীবাজার পৌর বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মমসাদ আহমদ, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক সারোয়ার মজুমদার ইমন, মৌলভীবাজার জজ আদালতের জিপি অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ, নারী শিশুর পিপি অ্যাডভোকেট জুবের আহমদ চৌধুরী, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান, কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক জনি আহমদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবি, সাংবাদিক ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার বিশিষ্টজনেরা অংশ নেন।