মিয়ানমারের বিদ্রোহী গুষ্ঠি আরাকান আর্মির কাছে জিম্মি থাকা ২৬ জেলে বিজিবির সহযোগিতায় বাংলাদেশে ফেরত এসেছে।
শনিবার ১৫ মার্চ বিকেল ৫ টায় টেকনাফ পৌরসভার বাংলাদেশ মিয়ানমার ট্রানজিট ঘাটে এসব জেলেকে পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করে বিজিবি।
ফেরত আসা জেলেদের মধ্যে ২১ জন রোহিঙ্গা এবং ৫ জন স্থানীয় জেলে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আশিকুর রহমান।
ফেরত আসা টেকনাফ উপজেলার শাহ্পরীর দ্বীপের জেলে মোঃ কাশেম জানান,তারা ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে ৫ জন নাফ নদীর মোহনায় মাছ শিকারে গেলে দিক হারিয়ে মিয়ানমার সীমানা অতিক্রম করলে তাদের আরাকান আর্মি ধরে নিয়ে যায়।
তার সাথে থাকা আরেকজন জেলে ছলিম জানান,ধরে নিয়ে যাওয়ার পর তারা সময় মত খাবার দিয়েছে। বিজিবির সহযোগিতায় আমরা ফিরে আসতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।
ফেরত আসা কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আবুল ফয়াজ জানান,আমাদেরকে নিয়ে যাওয়ার পর তারা কোনো ধরনের শারীরিক নির্যাতন করেনি। তারা শুধু নদীর সীমানা অতিক্রম না করার জন্য বলেছেন।
বিজিবির জানান, টেকনাফের কে কে খাল এবং শাহপরীরদ্বীপ ট্রলারঘাট থেকে কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন দলে মোট ২৬ জন জেলে নৌকাযোগে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বঙ্গোপসাগরে গমন করে। তারা মাছ ধরতে ধরতে একসময় ভুলবশত বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের শূন্য লাইন অতিক্রম করে মিয়ানমারের জলসীমায় প্রবেশ করেছিল। এর পরপরই আরাকান আর্মির সদস্যরা অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের নৌকাসহ আটক করে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে, আটক জেলেদের ফিরিয়ে আনতে বিজিবির হস্তক্ষেপ কামনা করা হলে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন কর্তৃক আরাকান আর্মির সাথে কার্যকরী যোগাযোগ স্থাপন এবং দীর্ঘ মধ্যস্থতার পর আজকে বিকেলে আটক জেলেদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। একই সময়ে, দীর্ঘদিন যাবত আরাকান আর্মির কাছে বাজেয়াপ্ত একটি মাছ ধরার নৌকাও ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে।