মিয়ানমারের আরাকান আর্মির কাছ থেকে ফিরে আসা জেলেরা বলছেন, বাংলাদেশের সীমানায় অবস্থান করলেও আরকান আর্মি নিজেদের সীমানা দাবি করে তাদের আটক করে।
জেলেদের এও দাবি, ধরে নিয়ে যাওয়ার মূল কারণ ফেরত দেওয়ার মধ্যে দিয়ে ‘বাংলাদেশ সঙ্গে সম্পর্ক’ করতে চায় আনাকান আর্মি।
আরাকান আর্মির কাছ থেকে তাদের ফেরত আনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। যাদের কক্সবাজারের টেকনাফে সাগর থেকে বিভিন্ন সময়ে ধরে নিয়ে গিয়েছিল।
এই জেলেদের মধ্যে আছেন মো. আজিজ। ফিরে আসার পর তিনি বলেন, ‘আরকান আর্মি আমাদের সীমান্তকে তাদের সীমনা দাবি করে আমাদের ধরে নিয়ে যায়।’
‘তাদের (আরাকান আর্মি) লক্ষ্য বাংলাদেশ সঙ্গে সম্পর্ক করা। পরে জেলেদের ফেরত দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে ভালো সম্পর্ক গড়তে চায়।’
ফেরত আসা আরেক জেলে মো. আব্দুল্লাহ। তিনিও দাবি করেন, বাংলাদেশের সীমানা থেকেই ধরে নিয়ে গিয়েছিল আরাকান আর্মি।
‘১০ দিন আগে নৌকা নিয়ে মাছ শিকার করে ফেরার পথে নাইক্ষ্যংদিয়া ও বাংলাদেশ সীমানা থেকে আমাদের ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি।’
শনিবার (১৫ মার্চ) বিকেলে টেকনাফ পৌরসভার চৌধুরী পাড়া সংলগ্ন টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটি ঘাট দিয়ে আজিজ ও আব্দুল্লাহসহ ২৬ জনকে ফেরত আনা হয়।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান জানান, ‘নাফ নদী থেকে বিভিন্ন সময়ে ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেদের ফেরত আনতে বিজিবি আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করে তৎপরতা শুরু করে। পরে দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর শ২৬ জেলেকে ফেরত আনতে সক্ষম হয়েছে বিজিবি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফেরত আনা জেলেদের নানা তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরে এসব জেলেদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
তবে এখনও অনেকে আরাকান আর্মির কাছে আটক আছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘বাকিদেরও ফেরত আনার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।’
আপনার মতামত লিখুন :