বন্ধুর স্ত্রীকে প্রেমে পটিয়ে বিয়ে করার ১৫ দিনের মাথায় ‘আত্মহত্যা’ করেছেন হৃদয় মিয়া (২৫)। শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরের ঘটনা এটি। গাইবান্ধায় পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের পার্বতীপুর গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হৃদয় ওই গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে।
জানা গেছে, ঘরে ১০ মাসের কোলের সন্তান রেখে ১৫ দিন আগে হৃদয়ের হাত ধরে স্বামীর সংসার ছেড়ে পালিয়ে আসে প্রেমিকা লামইয়া (১৭)। লামইয়া খুলনার তেরখাদা উপজেলার জয়সোনা গ্রামের সাইদুজ্জামানের মেয়ে।
মেয়েটির আগের স্বামীর নাম আকাশ সর্দার। তিনি শরীয়তপুর সদরের শিবচর উমেদপুর এলাকার বাবা লিটন সর্দারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকার গাজীপুর বাইপাইল এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করার সুবাদে খুলনার বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে হৃদয়ের বন্ধুত্ব হয়। পরে তার স্ত্রী লামইয়ার সঙ্গে হৃদয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তারা বিয়ে করে চাকরি ছেড়ে এলাকায় এসে বসবাস শুরু করেন।
লামিয়া জানতে পারেন হৃদয়ের আরও একটি বউ আছে। বিয়ের সপ্তাহ না পেরোতেই লামইয়া তার আগের সংসারে ফিরে যেতে চায়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্যকলহ চলছিল। শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। শনিবার ভোরে লামইয়ার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে হৃদয়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।
এ ব্যাপারে লামইয়া বলে, ‘আমাদের সম্পর্ক করে বিয়ে হয়েছে। আমার আগের স্বামী-সন্তান আছে। কাল রাতে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হৃদয় গলায় ফাঁস দেয়ার চেষ্টা করেছিল। আমি বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলাম। পরে আবার কখন ফাঁস দিয়েছে বুঝতে পারিনি।
পলাশবাড়ী থানার ওসি জুলফিকার আলী ভট্ট বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত হৃদয়ের স্ত্রী ও পরিবারের লোকজন থানায় এসেছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।