বিএনপির পতাকায় মুড়িয়ে দাফন করার অনুরোধ মনিরুল হক সাক্কুর

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২৫, ১০:০২ পিএম

বিএনপির পতাকায় মুড়িয়ে দাফন করার অনুরোধ মনিরুল হক সাক্কুর

ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য তিনবার তাকে তুলে নিয়ে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মনিরুল হক সাক্কু। তিনি অভিযোগ করেন, রাজধানীর বাসা থেকে তাকে তুলে নিয়ে একটি বাহিনীর পক্ষ থেকে নির্বাচনে পাস করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এমনকি তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদও তাকে জয়ের নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাতে এক সাক্ষাৎকারে সাক্কু বলেন, "আমি কুমিল্লার মানুষের ভালোবাসায় দুইবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ২০২২ সালে সিটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম কারণ কুমিল্লা বিএনপির শক্ত ঘাঁটি। কিন্তু দল আমার কথা না শুনে আমাকে বহিষ্কার করল।"

তিনি আরও বলেন, "তিন বছর হয়ে গেল কিন্তু আমি দলের জন্য কাজ বন্ধ করিনি। যতদিন বেঁচে থাকব বিএনপির জন্য কাজ করব। দল আমাকে দূরে সরিয়ে রাখলেও আমি বিএনপি থেকে পিছপা হবো না। আমি মারা গেলে যেন বিএনপির পতাকায় মুড়িয়ে দাফন করা হয়।"

সাক্কু জানান, তিনি আগামী জাতীয় নির্বাচন বা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের মনোনয়ন চান। "আমি আশা করছি, বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে দল আমাকে মনোনয়ন দেবে।"

তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক সংসদ সদস্য বাহাউদ্দীন বাহারের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে গেলে একটি বাহিনীর সদস্যরা তাকে তিনবার তুলে নিয়ে যায়। একবার তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদের কাছে যিনি তাকে নির্বাচনে জেতানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে সাক্কু সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি।

"তারা আমাকে গুম করার হুমকি দিয়েছিল, কিন্তু আমি ভয় পাইনি। যতদিন বাঁচব, শহীদ জিয়ার আদর্শ ধারণ করব," বলেন সাক্কু।

মনিরুল হক সাক্কু বিএনপি থেকে অব্যাহতি নিয়ে ২০১২ সালে নাগরিক কমিটির ব্যানারে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র হন। ২০১৭ সালে বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে পুনরায় নির্বাচিত হন। তবে ২০২২ সালে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে বিএনপি তাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করে।

২০২৪ সালের ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তাহসিন বাহার সূচনার কাছে ২২ হাজার ভোটে পরাজিত হন। নির্বাচনে কেন্দ্র দখল, জাল ভোট ও ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

সাক্কু এখনও দলীয় সিদ্ধান্তের পরিবর্তনের অপেক্ষায় আছেন এবং বিএনপির জন্য কাজ চালিয়ে যাবেন বলে জানান।

আরবি/শিতি

Link copied!