শাজাহানপুরে হাইওয়ে হোটেলে মাদকের কারবার সংশ্লিষ্টতার সংবাদ প্রকাশের জেরে রেজওয়ানুল হক শাহীন নামের এক সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক নেতারা।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শাজাহানপুর উপজেলার নয়মাইল বাসস্ট্যান্ডে হামলার ঘটনা ঘটে। ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিকে কর্মরত আহত সাংবাদিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। অভিযুক্ত তাজুল ইসলাম বেলাল (৫০) হাইওয়ে তাজ হোটেল মালিক। তিনি উপজেলার বামুনিয়া মন্ডলপাড়ার বাসিন্দা। সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা আড়াল করতে নানা অপতৎপরতা চালাচ্ছে হামলাকারীরা।
থানা পুলিশ বলছে, হামলার ঘটনা সত্য। জড়িতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে সড়কপথে বগুড়ায় আসে মাদকের চালান। বাসের যাত্রী সেজে হাইওয়ে হোটেলে এসে অবস্থান নেয় অপরাধীরা। সেখানে বসেই কৌশলে চলে ফেনসিডিল, হেরোইন, ইয়াবা, গাঁজাসহ মাদকের কারবার। গত ৭ মার্চ শাজাহানপুরের নয়মাইল হাইওয়ে হোটেল এলাকা থেকে ১০০ গ্রাম হেরোইন ও ৪০০ পিস ইয়াবাসহ একজনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৩০ পিস ইয়াবাসহ একজনকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ২৭ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ২০২০ সালে ৪০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারসহ হাতেনাতে ধরা পড়ে দুই মাদক কারবারি।
হামলার শিকার আহত সাংবাদিক রেজওয়ানুল হক শাহীন জানান, হাইওয়ে হোটেলে মাদকসহ একজনকে গ্রেপ্তারের পর পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেন। এ নিয়ে ব্যক্তিগত ফেসবুকে সচেতনতামূলক স্ট্যাটাস দেন। সেই স্ট্যাটাসে কোনো হোটেল বা ব্যক্তির নাম উল্লেখ ছিল না। এ নিয়ে ক্ষিপ্ত হন তাজ হোটেলের মালিক তাজুল ইসলাম বেলাল। ঘটনার দিন বিকেলে নয়মাইল বাসস্ট্যান্ডে সড়ক দুর্ঘটনার ছবি, ভিডিও এবং তথ্য সংগ্রহকালে সাংবাদিকের পথরোধ করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোসহ নানা হুমকি দেওয়া হয়। এরপর সন্ধ্যায় হামলার ঘটনা ঘটে। সাংবাদিককে একটি ঘরে আটকে রেখে মারধর করে হাইওয়ে হোটেল মালিক।
বগুড়া জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।