হাতের মেহেদির রং মুছবার আগেই যৌতুকের বলি হলেন গৃহবধূ ঝুমুর। বিয়ের পর আঠারো দিনের সংসারে স্বামীর নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১৫ মার্চ) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত নববধূর নাম মারজান আক্তার ঝুমুর (১৮)। তার স্বামীর নাম সাইদুর রহমান। তিনি ফেনী সদরের দক্ষিণ গোবিন্দপুর কামু ভূঁইয়া বাড়ির শাহাবুদ্দিনের ছেলে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ফেনীর সোনাগাজীর আলমপুরের আবদুল আলিমের মেয়ে ঝুমুরের সঙ্গে সাইদুরের বিয়ে হয়। বিয়ের পরদিন থেকে যৌতুকের দাবিতে স্বামীর সঙ্গে বিরোধ হয় ঝুমুরের। এরই জেরে গত ৪ মার্চ অমানবিক নির্যাতন করে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। মুমূর্ষু অবস্থায় বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, মারজানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গরম রডের দাগ ও আঘাত রয়েছে। ১২ দিন চমেকের আইসিওতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার তার মৃত্যু হয়।
নিহত ঝুমুরের মা ফরিদা আক্তার জানান, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে নৃশংসভাবে গরম রডের ছেকা দিয়ে ও পিটিয়ে মেয়েটাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তারা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ফেনী মডেল থানার ওসি শামসুজ্জামান জানান, গৃহবধূর মৃত্যুর বিষয়ে অবগত রয়েছেন। তবে এখনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।