ঢাকা সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫

বেড়াতে গিয়ে হামলার শিকার স্বামী-স্ত্রী

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০২৫, ০৪:১৮ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ায় কুমারখালীতে এক দম্পতির ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৫ মার্চ) রাত পৌনে ৯টার দিকে কুমারখালী শহর-যদুবয়রা সড়কের গড়াই নদীর ওপর নির্মিত শহীদ গোলাম কিবরিয়া সেতুতে এ ঘটনা ঘটে।

হামলাকারীরা শাবনুরকে (২৩) আঘাত না করলেও তার স্বামী রফিকুলের (২৫)  মাথা ও দুই হাতে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে। এতে গুরুতর আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন রয়েছেন রফিকুল।

আহত রফিকুল প্রামাণিক উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চর ভবানী গ্রামের বৌ বাজার এলাকার তাবু প্রামাণিকের ছেলে। তিনি বৌ বাজার এলাকায় নরসুন্দরের কাজ করেন।

রোববার (১৬ মার্চ) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, পুরুষ ওয়ার্ডে আছেন নরসুন্দর রফিকুল। মাথায় ও দুই হাতে সাদা ব্যান্ডেস করা তার। পাশেই স্ত্রী শাবনুর, ভাবি কু্লসুম, দুলাভাই ইজারতসহ অন্যরা।

এ ঘটনায় রফিকুল বলেন, ‘শনিবার রাতে স্ত্রীকে নিয়ে গড়াই সেতুতে ফুসকা খেতে যাই। পরে সেখানে গিয়ে আইসক্রিম কিনেছিলাম। সেতুর বাতিগুলো অকেজো থাকায় অন্ধকারাচ্ছন্নভাব ছিলো। হঠাৎ একজন এসে আমাকে বলে, ‘তোমার সমস্যা কি? এইডা কিডা?’। পরে আমি বলি, যা ভাবতেছেন তা না। এটা আমার বউ। এরপর তারা আরও চারজন আসেন। একজনের হাতে চাইনিজ কুড়াল এবং অন্য তিনজনের হাতে হকিস্টিক। তারা কোনো কথা না বলেই মাথায় ও হাতে কোপাতে থাকে এবং হকিস্টিক দিয়ে মারধর করে দ্রুত চলে যায়। আমি হামলাকারীদের চিনি না। কোনোদিন কথাও হয়নি। কেন হামলা করেছে, তা-ও জানি না। আমি থানায় মামলা করব।’

রফিকুলের স্ত্রী শাবনুর বলেন, ‘আমাদের দু’জনকে স্বামী-স্ত্রী না মনে করে তারা কয়েকজন আমার স্বামীকে মারধর শুরু করে। কেন এবং কারা আমার স্বামীকে হামলা করেছে, বলতে পারছি না।’

তবে এ বিষয়ে জানা যায়, শনিবার রাতে ঘুরে বেড়ানোর নাম করে রফিকুলকে গড়াই সেতুতে নিয়ে যান শাবনুর। আর পরকীয়ার প্রেমিক ও তার লোকজন হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়েছে। তবে পরকীয়া প্রেমিকের পরিচয় দিতে পারেননি তারা।

কিন্তু পরকীয়া প্রেম নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি রফিকুল ও শাবনুর।

কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলায়মান শেখ বলেন, রাতে গড়াই সেতুর ওপর এক দম্পতির ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়ে স্বামী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।