পটুয়াখালী সদর উপজেলার বড়বিঘাই ইউনিয়নে বোনকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ভাইকে মারধর করা হয়েছে। উভয় ঘটনার বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীদের মা আইরিন বেগম।
রোববার (১৬ মার্চ) দুপুরে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বড়বিঘাই ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জামাল হোসেন মিন্টু ও তার ভাগ্নে পরিচয় দানকারী মো. রুম্মান এর বিরুদ্ধে মেয়েকে উত্ত্যক্ত করা এবং ছেলেকে মারধরের অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার শ্বশুরবাড়ি একটি সম্ভ্রান্ত পরিবার। আমাদের সামাজিক কর্মকাণ্ডের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে গত (১০ মার্চ) বড়বিঘাই ইউপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জামাল হোসেন মিন্টুর ভাগ্নে পরিচয় দানকারী বখাটে মো. রুম্মানসহ চার-পাঁচজন সন্ত্রাসী আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে।
এ সময় আমার ছেলে মো. এজাজ আহমেদ তুনাক তাদের বাঁধা দিলে বখাটেরা উল্টো তাকে হেনস্তা করে। তাৎক্ষণিক সেখানে উপস্থিত হয়ে বড়বিঘাই ইউপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তার ভাগ্নে মোহাম্মদ রুমানকে আড়াল করার জন্য নিজেই রড দিয়ে আমার সন্তান মোহাম্মদ এজাজ আহমেদ তুনাকের মাথায় হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে। সাথে সাথে আমার ছেলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে সদর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। আসামিরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমার পরিবারের সবাইকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আমি আমার সন্তানকে নিয়ে খুবই নিরাপত্তাহীনতায় আছি। আমার মেয়ে নিরাপদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে সাহস পাচ্ছে না। আমি মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা, ডিসি ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। পাশাপাশি এই সন্ত্রাসী জামাল হোসেন মিন্টুর শাস্তি দাবি করছি।
এ বিষয়ে বড়বিঘাই ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জামাল হোসেন মিন্টু বলেন, অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি একটি ইফতার পার্টিতে ছিলাম। আমি এসে শুনেছি, আমি আসার পরে ওরা যার যার মতো চলে যায় । কিছুক্ষণ পরে আমি শুনেছি, ওরা মাথা ব্লেড দিয়ে কেটে আমাকে জড়িয়ে একটি মামলা করেছে এখানে আমার কি দোষ।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় ওসি মো. ইমতিয়াজ বলেন, ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত এবং আসামি গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলমান।
আপনার মতামত লিখুন :