কুষ্টিয়ায় শিশুকে যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত আসামি সাগজত (৫০) কে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (১৬ মার্চ) দুপুরে হরিনারায়ণপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি মেহেদী হাসান।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সাগজত (৫০)। সে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিনারায়ণপুর ইউনিয়নের শিবপুর এলাকায় মুদিদোকানদার।
ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার দুপুরে ওই শিশু সাগজতের দোকানে যায়। তখন তিনি বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে দোকানের মধ্যে নিয়ে যৌন নিপীড়ন করে। মেয়েটি বাড়ি ফিরে বিষয়টি জানালে মা-দাদিসহ প্রতিবেশী কয়েকজন নারী সাগজতের দোকানে গিয়ে জানতে চান। তখন অভিযুক্ত ব্যক্তি ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান। পরে ভুক্তভোগীর মা স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে বিষয়টি জানালে তিনি তাদের থানা ও হাসপাতালে যেতে বলেন। কিন্তু খরচের কথা ভেবে তারা আর সেখানে যাননি।
শিশুটির বাবা বলেন, ‘ঘটনার দিন আমি ঢাকায় ছিলাম। বাড়ি আসলে আমার স্ত্রী ঘটনাটি জানায়। রাত অনেক হওয়ায় পরদিন সকালে আমি সাগজতের দোকানে গিয়ে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাই। তিনি ভুল স্বীকার করে মাফ চাওয়ার পর রাগান্বিত হয়ে তাকে তিনটা ঘুষি মারি। তখন আশপাশের লোকজন এসে ঠেকিয়ে দেয়।
এলাকাবাসী জানান, সাগজতের বিরুদ্ধে এর আগেও এ ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। তখন ভুক্তভোগী মেয়েটি ১৪ বছরের হওয়ায় তার দরিদ্র পরিবার লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বাধ্য হয়। এবারের ঘটনাও একটি পক্ষ ধামাচাপা দেওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে।
এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে দুপুরে বিক্ষোভ করেন স্থানীয় ছাত্র-জনতা। পরে তাঁরা সাগজতের দোকান ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন।
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে হরিনারায়ণপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।