ঢাকা সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫

হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের আওয়ামী পুনর্বাসন প্রকল্পের নমুনা

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০২৫, ১০:১৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জ জেলা যুবদলে অনুপ্রবেশকারী আওয়ামীপন্থীদের নিয়ে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় ১৪ নম্বর আসামি আহাম্মদ আলী, যিনি গত ১৭ বছর ধরে প্রাণ কোম্পানিতে স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের জেলা সভাপতি ও সাবেক  এমপি  আবু জাহিরের কালেক্টর হিসেবে কাজ করিতেছিলেন এবং আবু জাহিরে সকল অপকর্মের সঙ্গী ছিলেন। ছাত্রদের দাবি আসামি আহাম্মদ আলী জুলাই আন্দোলনে সরাসরি হত্যা কাণ্ডে জড়িত ছিলেন। 

তিনি জেলা যুবদলের আহ্বায়ক জালাল আহমেদ ও সদস্য সচিব শফিকুর রহমান সিতুর সঙ্গে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের জিয়া স্মৃতি পাঠাগারে এক ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণ করেছেন।

এ ঘটনায় বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। "তারা জানতে চায় কত টাকার বিনিময়ে জেলা যুবদলের আহবায়ক জালাল আহমেদ ও সদস্য সচিব শফিকুর রহমান সিতু  আহাম্মদ আলীকে বিএনপিতে পুর্নবাসনের দায়িত্ব নিয়েছেন"।

হবিগঞ্জের স্থানীয় এক বিএনপি নেতা নিয়াজ আহমেদ ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‌‘বদল করেছি আমরা, মামলা খেয়েছি আমরা, মাইর খেয়েছি আমরা, ডিবি ধরেছে আমাদেরকে। দোকান-ব্যবসা বাদ দিয়ে মিছিলে উপস্থিত হয়েছি আমরা, আর এখন নেতারা সংসার করছেন, ইফতার করছেন আওয়ামী লীগদের নিয়ে! ১৭ বছর যারা বিএনপি করেননি, তাদের নিয়ে!

বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বেঈমানি, দলের সঙ্গে বেঈমানি এবং ত্যাগী নির্যাতিত কর্মীদের সঙ্গে বেঈমানি করার ফল আপনারা পাবেন, অবশ্যই পাবেন। জাস্ট ওয়েট। ৫ আগস্ট থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত ছিল!

হবিগঞ্জ বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দলের উচ্চপর্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তারা ত্যাগী নেতাদের অবমূল্যায়ন ও অনুপ্রবেশকারীদের পুনর্বাসন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।