ময়মনসিংহের নান্দাইলে সোয়া লাখ টাকা দামের মরা গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
রোববার (১৬ মার্চ) দুপুরে উপজেলার কানুরামপুর বাজারে সিরাজুল ইসলামের মাংসের দোকানে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের কানুরামপুর গ্রামের আব্দুল হেলিমের ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত শনিবার সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি তার গরু বাজারে বিক্রি করতে বাজারে নিয়ে আসেন। যার বাজার মূল্য হয় ১ লাখ ২৯ হাজার টাকা। হঠাৎ গরুটি অসুস্থ হলে মালিক তা বাড়িতে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে মাংস ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম গরুটি ৭৫ হাজার টাকায় কিনে নেন। গরুটি জবাই করার আগ মুহূর্তে মারা যায়। পরে সিরাজুল ইসলাম শনিবার রাতেই মরা গরু জবাই করে মাংস বস্তাভর্তি করে বিভিন্ন বাজারে পাঠিয়ে দেয়। বাকি অর্ধেক মাংস কানুরামপুর বাজারে রোববার সকালে বিক্রি করে। বাকি ১৫-২০ কেজি মাংস অবিক্রিত থাকে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে নান্দাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়জুল রহমান ও উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আবু সাদাত মো. সায়েম ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগে সিরাজুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে মাংস ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলামে মোবাইলে একাধিক বার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
নান্দাইল উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আবু সাদাত মো. সায়েম বলেন, গরুটি মরা অবস্থায় জবাই করা হয়। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। ব্যবসায়ী মুঠোফোনে আমাকে বলেছে মরা গরুর মাংস ছিল।
নান্দাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়জুর রহমান বলেন, মরা গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পাই। অবশেষে মাংস বিক্রি শেষ ১৫ কেজির মতো জব্দ করে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছে। তার আগেই ব্যবসায়ী পালিয়ে গেছে। মাংসের দোকানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন সাত্তার বলেন, নিয়ম হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় অভিযুক্ত হাতেনাতে ধরতে পারলে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব। অভিযুক্তকে আটক করা সম্ভব না হলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ নেই।