ঢাকা সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫

সাতক্ষীরায় বিএনপি নেতা হত্যা: সাবেক এমপি ও এসপিসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৫, ১০:১৩ এএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

সাতক্ষীরার তালা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জালালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, শালিখা ডিগ্রি কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষক এস এম বিপ্লব কবীরকে হত্যার ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে।

গত ১৬ মার্চ সাতক্ষীরার আমলী আদালত-৩ এ নিহতের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তফা লুৎফুল্লাহ ও সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীরসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মহিদুল হাসান মামলাটি আমলে নিয়ে তালা থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ২৩ মার্চের মধ্যে এজাহার হিসেবে গণ্য করে আদালতকে অবহিত করতে।

সাতক্ষীরা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক ওসি একেএম আজমল হুদা, ডিবি পুলিশের কনস্টেবল হাসিবুর রহমান, ফারুক চৌধুরী, রাসেল মাহমুদ, শিকদার মনিরুজ্জামান, তালা থানার সাবেক ওসি আবু বকর সিদ্দিক, এসআই আকরাম হোসেন, এএসআই গোলাম সরোয়ার, জালালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম মুক্তি, যুবলীগ নেতা শেখ আবু জাফর, শাহিন শেখ, আমিরুল শেখ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী রুহুল আমিন শেখ মিন্টু, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আমজাদ আলী, যুবলীগ নেতা ইদ্রিস সরদার, আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল সরদার, যুবলীগ নেতা আক্তারুল সরদার, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা মহিবুল্লাহ মোড়ল, উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ শেখ আনারুল ইসলাম ও জালালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাম প্রসাদ দাশ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জনপ্রিয়তা ঈর্ষান্বিত হয়ে আসামিরা পরিকল্পিতভাবে বিপ্লব কবীরকে হত্যা করে। ২০১৪ সালের ১৮ জুলাই রাত ১২টার দিকে অস্ত্রসহ সংঘবদ্ধ হয়ে তারা বিপ্লবের আশ্রয়স্থলে হামলা চালায়। তাকে মারধর ও গুলি করে ইসলাম কাটি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় নিয়ে হত্যা করা হয়।

উল্লেখ্য, মামলার প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ, এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।