বরগুনায় আলোচিত মন্টু চন্দ্র দাশ হত্যার ঘটনায় নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সকল রকমের সহয়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ নূরুল ইসলাম মনি। তিনি ভুক্তভোগী পরিবারটিকে ন্যায়বিচার পেতে সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এছাড়াও পরিবারটিকে সার্বিক সহায়তা দিয়ে বিএনপি সবসময় পাশে থাকবে বলেও জানান তিনি।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে বরগুনা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কালিবাড়ি করইতলা এলাকার নিহত মন্টুর বাড়িতে বিএনপির প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন বরগুনা জেলা আইনজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দ ও দলের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
আলহাজ নূরুল ইসলাম মনি আরো বলেন, নিহত মন্টুর হত্যাকান্ডে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দিক নির্দেশনায় আমাদের দল আপনার পরিবার এবং আপনার পাশে থাকবে। যতটুকু সম্ভব আপনারা যাতে ন্যায়বিচার পান সেজন্য বিনা পয়সায় আমাদের আইনজীবী মামলার চূড়ান্ত পর্যন্ত লড়াই করে যাবে। আমাদের দিক থেকে আমরা সেই সর্বোচ্চ চেষ্টাটুকু করব। আমরা চেষ্টা করব আমাদের অবস্থান থেকে আপনাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। এ সময় তিনি নিহত মন্টু দাশের স্ত্রী শিখা রানীর হাতে নগদ ১ লাখ টাকা তুলে দেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ১১ মার্চ দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে বরগুনা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কালিবাড়ির স্টাফ কোয়াটার দীঘির দক্ষিণ পাশে নিজ বাড়ির পেছন থেকে মন্টু চন্দ্র দাসের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে বুধবার বিকেলে বরগুনা সদর থানায় নিহতের স্ত্রী অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা করেন।
নিহত মন্টু বরগুনা শহরে একটি মুরগির দোকানে কর্মচারী ছিলেন। দেড় মাস বয়সী শিশু কন্যা সহ চার বছর ও ১২ বছর বয়সী দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। পরিবারটির ভরনপোষণের কর্মক্ষম ব্যক্তি মন্টু দাসের মৃত্যুতে অন্ধকার নেমে এসেছে।
নিহতের স্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, মেয়েকে ধর্ষণের পর আমার স্বামী বাদি হয়ে একটি মামলা করেন। পরে যে দিন মামলার তারিখ তার আগেই রাতে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের সন্দেহ হয় ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তের স্বজনরা এ হত্যাকাণ্ড করেছে। স্বামীকে হারিয়ে এখন সন্তানদের নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে আছি। কীভাবে আমাদের সংসার চলবে তা জানি না।
নিহত মন্টু দাশের স্বজনদের দাবি, মেয়েকে অপহরণের পরে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মন্টু দাশ বরগুনা থানায় মামলা করেন, এ কারণেই তাকে হত্যা করা হয়। তাকে হত্যার চার দিনেও উদঘাটন হয়নি এই হত্যাকান্ডের ঘটনা এমনকি এর সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক পারেনি পুলিশ।
এ ঘটনায় মন্টু দাসের স্ত্রী অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় আরেকটি মামলা করেছেন। এখন পর্যন্ত কোনো হত্যাকারীকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এ ছাড়া ঘটনার দিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করা হলেও অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত আসামি সৃজীব চন্দ্র রায়ের বাবা শ্রীরাম রায়, সৃজীবের সহযোগী কালু ও রফিক। এ মামলার একমাত্র এজাহারভুক্ত আসামি সৃজীব রায়সহ গ্রেপ্তার সবাই আদালতের নির্দেশে বর্তমানে কারাগারে আছেন।
আপনার মতামত লিখুন :