গাজীপুরের শ্রীপুরে পেকিং স্টার ও খাকি ক্যাম্বেইল জাতের হাঁসের খামার দিয়ে সফল হয়েছেন দুই বন্ধু রফিকুল ইসলাম ও এমএম ইসমাইল জাকী। বর্তমানে তাদের খামারে ১ হাজার ৭৬টি খাকি ক্যাম্বেইল হাঁস এবং ৩শ পেকিং স্টার সাদা হাঁস রয়েছে।
শ্রীপুরের উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত রহমত আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪২) দু’বছর আগে বন্ধুকে নিয়ে এমএম এগ্রো নামের খামার গড়ে তুলেন। চার বছরের জন্য একটি সেডসহ ৩টি পুকুর লিজে নেন। প্রথমে মাছ চাষ শুরু করেন। সেখানেও মিলেছে সফলতা। বন্ধু এমএম ইসমাইল জাকী পেশায় একজন পাইলট। পাইলট হওয়ায় সময় দিতে পারেন না তবে সাহস ও পরামর্শ দিয়ে সব সময় পাশে থাকেন তিনি। পাইলট সেই বন্ধুর পরামর্শেই গত বছর শুরু করেন হাঁসের খামার। ফ্রান্সের পেকিং স্টার যাকে সাদা হাঁস বলা হয়। এটি মাংসের জন্য পালন করেন এবং ডিমের জন্য ইংল্যান্ডের খাকি ক্যাম্পবেল পালন করছেন।

সম্প্রতি সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ৩টি পুকুরের পানিতে শত শত হাঁস ভেসে বেড়াচ্ছে, কিছু ডু্ব সাঁতার খেলছে। একজন পুরুষ এবং মহিলা মনোযোগ সহকারে খামারে কাজ করছেন। ডিম সংগ্রহ করছেন।
রফিকুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, প্রথম প্রথম খুব কষ্ট হয়েছে, হাঁসের তেমন রোগ বালাই না হলেও অনেক কিছু শেখার আছে। বর্তমানে তেমন কোনো সমস্যা নেই। প্লানেট গ্রুপের কাছ থেকে একদিন বয়সের পেকিং স্টার হাঁসের বাচ্চা ক্রয় করে নিয়ে আসি। এরমধ্যেই তিন ব্যাচ বিক্রি করেছি। এখন চতুর্থ ব্যাচ পালন করছি। এর মাংস খেতে খুব সুস্বাদু, খাসির মাংসের মতো কালার হয়। আমি এটাতে খুব সাড়া পেয়েছি। ডিমের জন্য খাকি ক্যাম্পবেল পালন করছি, এটিতে বেশ লাভবান হচ্ছি। প্রায় সবগুলোই ডিম দিচ্ছে। আলহামদুলিল্লাহ।
তিনি বলেন, নতুন যারা উদ্যোক্তা হতে চান তারা ইচ্ছে করলে হাঁসের খামার দিতে পারেন। তবে জেনে শুনে বুঝে শুরু করতে হবে। প্রয়োজনে যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু করতে পারেন।

শ্রীপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মো. আশরাফ হোসেন বলেন, উপযুক্ত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে হাঁস পালনে বেকারত্ব সমস্যার সমাধান হতে পারে। শিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তারা এ সেক্টরে আসলে ভালো করবে। বিশেষ করে পেকিং স্টার হাঁস থেকে দ্রুত মাংস উৎপাদন সম্ভব। এটি বয়লার মুরগির বিকল্প হতে পারে। এমএম এগ্রো খামারে গিয়েছি তারা ভালো করছেন। শ্রীপুরের কেউ হাঁসের খামার দিতে চাইলে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করব।
আপনার মতামত লিখুন :