ঢাকা সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫

যুবদল নেতাকে লাঠি হাতে মারতে আসেন আ.লীগ চেয়ারম্যান

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৫, ০৪:৫৫ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ভিজিএফের চালের কথা জিজ্ঞেস করতেই যুবদলের এক নেতাকে লাঠি দিয়ে মারতে আসলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত এক চেয়ারম্যান।

সোমবার (১৭ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত হাদিউল ইসলাম হাদী হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

ভিকটিম রাজিব হোসেন বাবু হোসেন্দী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী।

জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফের চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হোসেন্দী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী রাজিব হোসেন বাবু ইউপি চেয়ারম্যান হাদিউল ইসলাম হাদীকে জিজ্ঞেস করে ‍‍`কাকা ১৬৮০টি কার্ড আপনি কাকে দিয়েছেন।‍‍`

তখন চেয়ারম্যান হাদি বলে, তোমার কাছে বলা লাগবে।‍‍` তখন যুবদল বলে আমার কাছে বললে সমস্যা কি? তখন চেয়ারম্যান হাদি বলে বাহির হ।‍‍` এই কথা বলে কক্ষে রাখা একটি লাঠি হাতে রাজিব হোসেন বাবুকে মারতে তেড়ে আসে। এসময় আশপাশে থাকা লোকজন চেয়ারম্যানকে আটকিয়ে ফেলে।

এতে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

এছাড়াও জানা গেছে, ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকার টিকেট নিয়ে কেন্দ্র দখল করে ভোট কারচুপির মাধ্যমে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন হাদিউল ইসলাম হাদী। 

এর আগে তিনি আওয়ামী লীগের সমর্থনে জেলা পরিষদের সদস্যও নির্বাচিত হয়েছিলেন।

গত জুলাই-আগস্ট এর ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানা ও পাকুন্দিয়া থানায় দুইটি মামলার এজহারভুক্ত আসামি ও এই ইউপি চেয়ারম্যান হাদিউল ইসলাম হাদী।

হোসেন্দী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী রাজিব হোসেন বাবু জানান, আমি চেয়ারম্যানকে বিনয়ের সাথে কাকা সম্মোধন করে জিজ্ঞাসা করতেই চেয়ারম্যান লাঠি হাতে আমাকে মারতে তেড়ে আসেন। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।

হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিউল ইসলাম হাদী জানান, ইউনিয়ন যুবদলের নেতা রাজিব হোসেন বাবু আমার কাছে ভিজিএফের ৫০টি কার্ড দাবি করে। এগুলো নিয়েই তার সাথে আমার ঝামেলা হয়েছে। বিষয়টি আমি ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম সুরুজকে জানিয়েছি।

তবে চেয়ারম্যান এসব দাবি অস্বীকার করে হোসেন্দী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম সুরুজ বলেন, চেয়ারম্যান হাদী ১০কেজি চাল দেয়ার পরিবর্তে ৭কেজি ও ৮ কেজি করে চাল গরীব মানুষকে দিয়েছেন। এছাড়াও বিএনপি নাম করে ৪৫০টি কার্ড রেখে নিজের লোকজনকে দিয়েছেন।

এই বিষয়গুলো জিগ্যেস করতেই ইউনিয়ন যুবদলের নেতা রাজিব হোসেন বাবুকে মারতে আসে।