নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় সংগঠন মামুদপুর ইউনিয়নের আয়োজিত ইফতার মাহফিলে বিএনপির পরিচয়ে একদল লোক বাঁধা প্রদান ও প্যান্ডেল খুলে ইফতার মাহফিল পণ্ড করে দেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে জামাতের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ ) দলটির নারায়ণগঞ্জ জেলা আমির মমিনুল হক সরকার ও সেক্রেটারি হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদ লিপি তাদের দলীয় ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ঐতিহ্যগতভাবে জামায়াতে ইসলামী সব সময় মাহে রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে করে থাকে।
ইফতার মাহফিলে যেমন কুরআন হাদীসের আলোচনা হয় একইভাবে একটি সমপ্রীতির পরিবেশ তৈরী হয়।
বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিস্টদের দুঃশাসনমালে জামায়াতে ইসলামীকে কোনো সভা সমাবেশ করতে দেয়া হয়নি। কোথাও কোনো ইফতার মাহফিল ফ্যাসিস্টরা করতে দেয়নি।
ছাত্র-জনতার গণ অভ্যূত্থানে ফ্যাসিস্টদের বিদায়ের পরেও একটি শান্তিপূর্ণ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে বাঁধা দানে আমরা বিস্মিত ও হতবাক।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফ্যাসিবাদের দ্বারা সবচেয়ে নির্যাতিত সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
বিগত আওয়ামী দুঃশাসনামলে আমাদের শীর্ষ দশজন নেতাকে বিচারিক অসাধুতার মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে এবং চিকিৎসা না দিয়ে কারাগারের মধ্যে হত্যা করা হয়েছে।
সহস্রাধিক নেতা-কর্মীকে গুম, ও ক্রসফায়ারের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। আহতদের সংখ্যা কয়েক হাজার, কয়েকশত কর্মী হাত পা হারিয়ে পঙ্গুত্বের জীবন যাপন করছে।
সারাদেশে কোথাও সাংগঠনিক অফিস খুলতে দেয়া হয়নি। মিছিল দেখামাত্রই গুলি ও গ্রেফতার করা হতো। সেই ফ্যাসিস্টদের বিদায়ের পরেও যদি আবার আমাদেরকে কারো দ্বারা ফ্যাসিবাদী আচরণের শিকার হতে হয়, তা সত্যিই দুঃখজনক। ফ্যসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে বি এন পি জামায়াতে ইসলামী সব সময় একত্রে সোচ্চার ছিল।
পট পরিবর্তনের পর কারা এই সম্প্রীতি নষ্ট করতে তৎপর সেই বিষয়ে বি এন পির উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, গতকাল ১৭ মার্চ জামায়াতে ইসলামী মামুদপুর ইউনিয়ন কর্তৃক আয়োজিত ইফতার মাহফিলে বি এন পির পরিচয়ে একদল লোক বাঁধা প্রদান করে ও প্যান্ডেল খুলে নিয়ে যায়।
আপনার মতামত লিখুন :