পুত্রবধূকে ধর্ষণচেষ্টা, শ্বশুর-শাশুড়ি গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০২৫, ০৮:২৫ পিএম

পুত্রবধূকে ধর্ষণচেষ্টা, শ্বশুর-শাশুড়ি গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুর ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে যশোর থানা পুলিশ।

সোমবার (১৭ মার্চ) বিকেলে উপজেলা আগানগর ইউনিয়নের জগমোহন পুর এলাকা থেকে তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ওই এলাকার তোতা আলীর ছেলে আমির আলী (৬৫) ও তার সহধর্মিণী সমেলা (৫৫)। ছেলে সাব্বিরের স্ত্রী দেলোয়ারা (২৪)। অভিযুক্ত নারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর বিটুই গ্রামের হাসেম মিয়ার মেয়ে।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ খন্দকার ফুয়াদ রুহানি।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা আগানগর ইউনিয়নের জগমোহনপুর এলাকার আমির আলীর ছেলে সাব্বিরের সাথে ৬ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় দেলোয়ারা বেগমের। সংসারের তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে। গত ২ বছর আগে পরিবারের স্বচ্ছতা ফেরাতে প্রবাসে চলে যায় সাব্বির। ছেলে প্রবাসে যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় দেলোয়ারার উপর শারীরিক নির্যাতন। বিভিন্নভাবে চলে অত্যাচার।

গত তিন বছর আগে শ্বশুর আমির আলী তার পুত্রবূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বিষয়টি স্থানীয়রা পারিবারিক সালিশির মাধ্যমে পুত্রবধূর কাছে ক্ষমা চেয়ে মিটমাট করে দেয়।

জানা যায়, গত ১২ মার্চ রাতে পুত্রবধূর শোবার ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে শ্বশুর আমির আলী। এ সময় তিনি চিৎকার শুরু করলে শ্বশুর পালিয়ে যায়। বিষয়টি শ্বাশুড়ী সমেলা বেগমকে জানালে তিনি উল্টো পুত্রবধূকে শারীরিক নির্যাতন করে।

এরপর ১৬ মার্চ রাতে ভৈরব থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তাদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা ও মারধর করে জখমের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন দেলোয়ারা বেগম।

এ বিষয়ে দেলোয়ারা বেগম বলেন, আমার শ্বশুর বিয়ের পর থেকেই আমার প্রতি কুদৃষ্টি দেয়। তিন বছর আগে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে কোনোরকম প্রাণের বেঁচে যাই। স্থানীয় গণ্যমান্য বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়। এরপর থেকে আমাকে প্রায় সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো তারা।

গত ১২ মার্চ রাতে আমি নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ আমার শ্বশুর ঘরে ঢুকে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে শ্বাশুড়িকে বিষয়টি জানালে তিনিও আমাকে মারধর করে রক্তাক্ত করে। আমি কোনোরকম প্রাণের বেঁচে আমার বড় বোনের বাসায় গিয়ে আশ্রয় নেই এবং ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেই। আমি আমার লম্পট শ্বশুর ও তাকে সহায়তাকারী আমার শ্বাশুড়ি বিচার চাই। কোনো পুত্রবধূ যেন আমার মতো ধর্ষণের শিকার না হয়।

এ বিষয়ে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ খন্দকার ফুয়াদ রুহানি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে জানা যায় গৃহবধূর শ্বশুর আমির আলী দুশ্চরিত্র প্রকৃতির লোক। পরে তাকে ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়েছে। বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন রয়েছে। আটকৃতদের ১৭ মার্চ বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আরবি/জেডি

Link copied!