সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে তারাবির নামাজে ভুল ধরাকে কেন্দ্র করে মসজিদের ইমামকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৯ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার চৌবাড়ী পশ্চিম পাড়া গ্রামে বাইতুল আমান জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নামাজ পড়ানোর সময় ইমাম মাওলানা আব্দুল্লাহ কিরাতের সময় ভুল করলে তা নিজেই সংশোধন করে নামাজ শেষ করেন। তবে নামাজ শেষে মসজিদের এক মুসল্লি হাফেজ মোহাম্মদ তালহা মাইকে কথা বলার অজুহাতে সামনে এগিয়ে যান। এবং ইমামের কাছে মাউথপিস চান। ইমাম মাউথপিস দিতে অস্বীকৃতি জানালে তালহা উত্তেজিত হয়ে তাকে ঘুষি মারেন।
পরে মসজিদের কাঠের বাটামের লাঠি তুলে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে ইমামের পা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম হন। পরে স্থানীয় মুসল্লিদের সহায়তায় আহত ওই ইমামকে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
১৮ বছর বয়সী মোহাম্মদ তালহা নিজেও একজন হাফেজ এবং তার বাড়ি মসজিদের পাশে। তিনি ওই মসজিদে ইমামতি করতে চেয়েছিলেন, তবে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে ইমাম হিসেবে গ্রহণ করেননি। ধারণা করা হচ্ছে, এর জেরে তিনি ৪৭ বছর বয়সী ইমাম মাওলানা আব্দুল্লাহকে মারধর করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ১৮ বছর বয়সী হাফেজ মোহাম্মদ তালহা নিজেও একজন হাফেজ এবং তার বাড়ি মসজিদের পাশে। তিনি ওই মসজিদে ইমামতি করতে চেয়েছিলেন, তবে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে ইমাম হিসেবে গ্রহণ করেননি। ধারণা করা হচ্ছে, এর জেরে তিনি ইমামকে মারধর করেছেন। তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোহাম্মদ তালহার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে কামারখন্দ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে উৎসুক জনতা পেয়েছি। ইমামের হাসপাতাল থেকে থানায় আসার কথা। ইমাম থানায় এলে হয়তো বুঝতে পারব, তিনি লিখিত অভিযোগ দেবেন কি না।’