ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডক্টর আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, হজ্ব ওমরাহ`র ক্ষেত্রে বিমানের টিকিট সিন্ডিকেট আর থাকবে না, সিন্ডিকেট করে গ্রুপ টিকিট বুকিং করে অতিরিক্ত দামে বিক্রিরও সুযোগ নেই।
এখন থেকে টিকিট বুক করতে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট যাত্রীর পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে করতে হবে। তিনদিনের মধ্যে এই টিকিট ইস্যু না করলে এটা অটোমেটিক বাতিল হয়ে যাবে। গ্রুপ টিকিট বুকিং করে দ্বিগুণ, ত্রিগুণ দাম বাড়িয়ে দিবেন এটা আর হবে না। এ ক্ষেত্রে একটা নীতিমালা তৈরী করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
২১ মার্চ শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজারে জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, কক্সবাজারে সম্প্রীতির একটা আবহ বিরাজ করে আসছে বহুদিন ধরে। এখানে সাম্প্রদায়িকগত কোনো নৈরাজ্য, কোনো ভুল বুঝাবুঝি নেই। তাই, এই মসজিদের মাধ্যমে একটা ভ্রাতৃত্তের পয়গাম কক্সবাজারের ছড়িয়ে পড়বে।
তিনি বলেন, মসজিদটিতে বহুমাত্রিক কর্মযজ্ঞ রয়েছে। এখানে একসাথে ১১ শত পুরুষ নামাজ আদায় করতে পারবেন। মহিলা ও শারীরিক, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্যও আলাদাভাবে অযুখানা ও নামাজ পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
এছাড়াও গাড়ি পার্কিং, মৃত গোসলের ব্যবস্থা, কনফারেন্স রুম, অডিটোরিয়াম, কোরআন শিক্ষা ব্যবস্থা, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অফিস, পাঠাগার, ইমাম প্রশিক্ষণসহ বিভিন্নভাবে সাজানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, সারাদেশে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৬৪ টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করছে সরকার। ইতোমধ্যে, সাড়ে তিনশন মসজিদের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ও মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সময় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক মো শহিদুল ইসলামসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সবশেষে মডেল মসজিদে পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ.ফ.ম খালিদ হোসেন।
জানা গেছে, কক্সবাজার কাছাড়ি পাহাড়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদটি ভেঙে সেখানে ৪ তলা বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক সুবিধা সংবলিত এই মসজিদ নির্মানে ব্যয় হয়েছে ১৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা। মসজিদটিতে একসঙ্গে ১২শ মুসল্লী নামাজ আদায় করতে পারবে। মসজিদের নীচতলায় থাকছে ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।