ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৪টার দিকে নিউমার্কেট থানা এলাকা থেকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে নিউমার্কেট থানা পুলিশ।
নিউমার্কেট থানার ওসি মহসিন উদ্দিন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে দায়ের করা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বিস্ফোরক ও হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। দুপুরে তাকে ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে নেওয়া হবে।
জানা গেছে, ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একাধিক হত্যা চেষ্টা ও বিস্ফোরক মামলা রয়েছে। এছাড়া কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলাও রয়েছে। পাশাপাশি সন্ত্রাসী বাহিনী লালন-পালন (আব্বা বাহিনীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক), চাঁদাবাজি ও ভূমি দস্যুতার মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ইকবাল হোসেন সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও ঢাকা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নসরুল হামিদ বিপুর ঘনিষ্ঠ ও আস্থাভাজন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক বনে গেছেন তিনি।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, কেরানীগঞ্জের কবুতরপাড়ায় তার আটতলা ভবন রয়েছে তিনটি, বলরামের সামনে সাততলা মার্কেট আছে দুটি, বয়েজ ক্লাবের রোডে নয়তলা একটি মার্কেট, চেয়ারম্যান বাড়ি রোডে সাততলা বাড়ি দুটি, খেজুরবাগে পাঁচতলা বাড়ি চারটি, তেলঘাটে পাঁচতলা বাড়ি ও মার্কেট দুটি, বড়ইতলা ডকইয়ার্ডে দুটি প্লটে ৩৬০ শতক জমি, বড়ইতলায় দুটি টিনশেড বাড়ি, বড়ইতলায় ওয়াশ মিল, খেজুরবাগে ওয়াশমিল, কালিগঞ্জ বয়েজ ক্লাবের পাশে ওয়াশ মিল, কয়কটি জিন্স কাপড়ের ব্যাবসাপ্রতিষ্ঠান, নয়টি জাহাজ ও বাল্কহেড, একাধিক বিলাস বহুল গাড়ি, জাহাজ কাটা বা স্ক্র্যাপ ব্যবসা, ঘাট ইজারা, জাহাজ মালিক সমিতিসহ নামে-বেনামে ব্যাংক ডিপোজিট রয়েছে। তার বিরুদ্ধে এসব সম্পদের কর দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :