মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মূল ফটকের এলইডি সাইনবোর্ডে ভুল বানানে হঠাৎ ভেসে উঠল “জয় বাংলা, জয় বংগোবন্ধু (জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু লেখা)। বিষয়টি দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ছাত্র-জনতা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (খামার বাড়ি) মূল ফটকে এই দৃশ্য দেখা যায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারি অফিসের মূল ফটকের এলইডি সাইনবোর্ডে এই দৃশ্য দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়ে জনতা ও ভিন্নমতাবলম্বী রাজনীতিবিদরা। অনেকেই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ফটকে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
উপস্থিত সাইবার এক্সপার্টরা বলেন, প্রতিটি ডিজিটাল সাইনবোর্ডের একটি কমন কোড আছে। সব দপ্তরকেই কোডটি পরিবর্তন করে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। তারা তা করেনি। এর প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা হবে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ওবিএম অপারেটর রবিউল ইসলাম বলেন, সাইনবোর্ডে জয় বাংলা জয় বংগোবন্ধু লেখা উঠেছে। এটা দেখে পুলিশ ও জনগণ এসেছে। সাইনবোর্ডের লাইনটা কেটে দেয়া হয়েছে। আমি নিজেই তারটি কেটেছি। আমি শুধু এটুকুই জানি, আর কিছু বলতে পারব না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ তামিম ইসলাম বলেন, ফ্যাসিবাদ সরকারের পতন হয়েছে। তবে তার প্রেতাত্মারা রয়ে গেছে। এ ঘটনা অনিচ্ছাকৃত না পরিকল্পিত তা কৃষি বিভাগকে ব্যাখ্যা দিতে হবে। অনেক স্থানে ফ্যাসিবাদের দোসররা এভাবে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে চাইছে। ছাত্র-জনতা এসব কঠোরভাবে প্রতিরোধ করবে।
মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিল রহমান খান বলেন, তদন্তসাপেক্ষে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে। ইচ্ছাকৃত কেউ করে থাকলে অবশ্যই কৃষিবিভাগ এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মেহেরপুরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার ফোনে বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি। এখানে কোন হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটেছে না অফিসের কেউ এর সঙ্গে জড়িত সেটা খুঁজে বের করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :