ঢাকা রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৫

দেবরের সঙ্গে পরকীয়ায় গৃহবধূর মৃত্যু, আটক ২

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২৫, ০৭:১৩ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে বিনতা রানী (২৮) নামে এক গৃহবধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় দেবর ও শ্বাশুড়ীকে আটক করা হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের গনেশপাড়া গ্রামে এ ঘটনা। গৃহবধুর পরিবারের অভিযোগ, মেয়েকে হত্যা পর গলায় ফাঁস দিয়েছে দেবর ও শ্বশুর বাড়ীর লোকজন।

গৃহবধু বিনতা রানী উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের বোয়ালধার গ্রামের বুধুরাম পালের মেয়ে ও সবুজ চন্দ্রের স্ত্রী । ৬ বছরের পুষ্পা নামে এক কন্যা সন্তান রয়েছে তার। 

আটক দেবর সুমন চন্দ্র (২৩) ও তার মা বাসন্তী রানী ধনতলা ইউনিয়নের গনেশপাড়া গ্রামে সেবারামের স্ত্রী।

জানা যায়, ৮ বছর আগে উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের গনেশপাড়া গ্রামের সবুজ চন্দ্রের সাথে বিয়ে হয় বিনতা রানীর। দুই বছর পর কন্যা সন্তান জন্মের পর জীবিকা নির্বাহের জন্য ঢাকায় যাতায়াত শুরু হয় গৃহবধুর স্বামীর। গোপনে ২ বছর হলো আরেকটি বিয়ে করেন গৃহবধুর স্বামী সবুজ চন্দ্র। এরপর থেকে বাড়ীতে আসা বন্ধ করে দেয়।

‍‍`এদিকে প্রায় এক বছর ধরে দেবর সুমনের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন গৃবধুর বিনতা রানী। ৩ মাসের অন্তস্বত্তাও হয়ে পড়েন তিনি। বিষয়টি দুই পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলে বৃহস্পতিবার দুই পরিবারের মধ্য বৈঠক হয়। বৈঠকে স্বামীকে তালাক দিয়ে দেবরের সাথে বিয়ে দেওয়ার চাপ দেন। এটা সিদ্ধান্তের জন্য এক সপ্তাহ সময় নেয় গৃহবধুর শ্বশুড়বাড়ীর লোকজন।‍‍`

গৃহবধুর বাবা বুধুরাম জানান, সকালে মেয়ে ফোন করে খুব কান্নাকাটি করছিল। মোবাইলে শান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু ঘন্টা খানেক পরে শুনতে পেলাম মেয়ে আর নেই। ছুটে গিয়ে দেখি মেয়ের মরদেহ বারান্দায় পড়ে আছে।

বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি শওকত আলী সরকার জানান, গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। 
এ ঘটনায় পরকীয়া প্রেমিক দেবর ও শ্বাশুড়ীকে আটক করেছে পুলিশ।

আটকের আগে ভাবির সাথে পরকীয়া প্রেম ও তার সাথে মেলামেশায় অন্তস্বত্ত্বা হয়ে পড়ার কথা স্বীকার করেছেন দেবর সুমন চন্দ্র।