পিরোজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়কের বিরুদ্ধে নির্মানাধীণ মডেল মসজিদের সাইটে হামলা, ভাঙচুর ও টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার দুপুর ১২.০০-১২.৩০ মিনিটের সময় সমন্বয়ক মুসাব্বির মাহমুদ সানির নেতৃত্বে ৩০-৪০ জনের একটি দল পিরোজপুর পৌরসভার কাছে নির্মানাধীণ মডেল মসজিদের সাইটে হামলা করে।
এ সময় হামলাকারীরা সেখানের স্টাফ ও কর্মচারীদের থাকার ঘর এবং সাইট অফিসে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে অফিস কক্ষে রাখা ৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় ও সেখানে থাকা সিসিটিভি ভেঙে ফেলে তার হার্ডডিস্ক নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা।
ঘটনার একদিন আগে তাদের কাছে সমন্বয়ক সানি ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বলে অভিযোগ তাদের। এদিকে মডেল মসজিদের সাইটে হামলার পর পরই পিরোজপুরের বলেশ্বর ব্রিজের টোল সংগ্রহের ঘরেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সানি দাবি করেন অবৈধভাবে মডেল মসজিদের কাজ চলছিল। এজন্য বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বের করা মিছিল থেকে গিয়ে এ হামলা করেছে। এর সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নাই বলে দাবি সানির।এ ছাড়া চাঁদা দাবির অভিযোগটিও অস্বীকার করেছে সে।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খান জানান, বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া ভূক্তভোগীদের থানায় অভিযোগ দেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পরেই উক্ত সাইটের ম্যানেজার মো. শহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে মুসাব্বির মাহামুদ সানি, মো. সানজিদ ও মো. সাজিদুল ইসলাম জয় সহ ২০/২৫ জনকে আসামী করে পিরোজপুর সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
উল্লেখ্য মুসাব্বির মাহামুদ সানি বিগত দিনে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সক্রীয় সদস্য ছিলেন ও পিরোজপুর ১ আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এর একনিষ্ঠ কর্মী বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।