বাবার ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে চল্লিশোর্ধ্ব ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় আপন ফুপুর যোগসাজশে এহেন ঘটনার চেষ্টা চলছে।
এ ঘটনায় শিশুটিকে পরপর দুদফা ঘর থেকে তুলে নেয়ারও অভিযোগ করেছে তার পরিবার। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
শিশুর বাবা জানান, চার মাস আগে তার বোন জাহানারার মাধ্যমে বালিয়াতলী ইউনিয়নের লেমুপাড়া গ্রামের শিপন হাওলাদারের কাছ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা ধার নেন তিনি। যদিও নির্ধারিত সময়ে সেই টাকা পরিশোধ করতে না পারায় এক মাস আগে কৌশলে শিশুটিকে বেড়ানোর কথা বলে প্রথমে লেমুপাড়ায় নিজের বাড়িতে নিয়ে যান জাহানারা। পরে কলাপাড়া শহরের একটি বাড়িতে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে চল্লিশোর্ধ্ব শিপনের সঙ্গে তার বিয়ে দেয়া হয়।
শিশুটির বাবা-মায়ের অভিযোগ-সম্প্রতি শিশুটিকে দুদফা তুলে নেয়ার চেষ্টা করেছে জাহানারা ও শিপন। যদিও বিয়ের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছেন অভিযুক্ত শিপন ও জাহানারা। তাদের দাবি, টাকা না দেয়ার জন্য এসব মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে।
এ দিকে বিষয়টি নিয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি, দ্রুত তদন্ত করা হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।