সিলেটের বিশ্বনাথে মশারির স্ট্যান্ডের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২৩ মার্চ) ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্বনাথ পৌরসদরের একটি ফ্ল্যাট থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আব্দুল মুকিত (৩৫) উপজেলার মিরেরচর গ্রামের আব্দুস শহিদের ছেলে।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে এ ঘটনাকে আত্মহত্যা মনে করলেও নিহতের স্বজনদের দাবি- এটি হত্যাকাণ্ড। কারণ- মরদেহের শরীরের পেটে ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া একটি পা মশারির স্ট্যান্ডের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল।
পুলিশ জানায়, স্বজনদের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে রোববার ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে রামপাশা সড়কের ওই ফ্ল্যাট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মশারির স্ট্যান্ডের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মরদেহ ঝুলছিলো।
নিহতের স্বজনরা জানান- আব্দুল মুকিত বিশ্বনাথ পৌরসদরের একটি সুপারশপে চাকরি করতেন। রামপাশা রোডে তার প্রবাসী বোনের ফ্ল্যাট রয়েছে। সেখানে কোনো ভাড়াটে ছিলো না। এটি দেখাশুনা করতেন আব্দুল মুকিত।
শনিবার (২২ মার্চ) রাতে তিনি বাড়ি না ফেরায় তার খোঁজ করতে শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। সেহরির সময় সিকিউরিটি গার্ড মারফত জানতে পারেন- ওই ফ্ল্যাটে বাতি জ্বলছে। পরে পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পান। তবে জানালার গ্লাস খোলা ছিলো এবং সেই জানালা দিয়ে হাত ঢুকিয়ে দরজার ছিটকিনির নাগাল পেয়ে দরজা খুলে একটি কক্ষের মশারির স্ট্যান্ডের সঙ্গে মুকিতের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশে খবর দিলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ- এটি হত্যাকাণ্ড। মরদেহ উদ্ধারের সময় মুকিতের ব্যবহৃত ফোন পাওয়া যায়নি। খুঁজে পাওয়া যায়নি ওই ফ্ল্যাটের চাবিও। এ ছাড়া শরীরে আঘাতের চিহ্নও রয়েছে এবং দুই পা হাটু পর্যন্ত বিছানায় লেগেছিলো। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে বলে জানা গেছে।
বিশ্বনাথ থানার ওসি এনামুল হক চৌধুরী বলেন, এটা হত্যা না আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা হলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
