কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে চাতল বাগহাটা স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিচালনা কমিটি গঠন করা নিয়ে বিরোধে আশিক খাঁ (২২) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের দুই কর্মকর্তা, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উপজেলা প্রতিনিধি রঞ্জন খাঁসহ ১০-১২ জন আহত হন।
এ ঘটনায় সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আশিকুজ্জামান নজরুলসহ ২৯ জনের নামে ও অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (২৩ মার্চ) নিহত আশিকের মা রিতা বাদী হয়ে কটিয়াদী মডেল থানায় এ হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় আসামিরা হলেন- উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আশিকুজ্জামান নজরুল, চান্দপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জ জজকোর্টের এপিপি রিয়াজুল ইসলাম সেবক, চাতল বাগহাটা স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক সভাপতি শাহ মোহাম্মদ আলী হায়দার বাবুল, চান্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ইনসাফ আলীসহ ২৯ জন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (২২ মার্চ) চাতল বাগহাটা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অ্যাডহক কমিটি গঠনের জন্য সভাপতি হিসেবে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক নুরুজ্জামান চন্দনের নাম প্রস্তাব করা হয়। এর বিরুদ্ধে কলেজের সাবেক সভাপতি শাহ মোহাম্মদ আলী হায়দার বাবুল ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকা বোর্ডের সহকারী কলেজ পরিদর্শক মো. লোকমান মুন্সী ও সেকশন অফিসার আহাদ খানের নেতৃত্বে একটি তদন্ত টিম (২২মার্চ) শনিবার ওই প্রতিষ্ঠানে আসেন।
এ সময় মুমুরদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন সাবেরী, কটিয়াদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাবিবুল্লাহ খান ও এলাকার শতাধিক লোকজনের উপস্থিতিতে স্কুল মাঠে তদন্তের কাজ শুরু হয়। মিটিং চলাকালে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নুরুজ্জামান চন্দন ও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আশিকুজ্জামান নজরুল এবং অ্যাডভোকেট রিয়াজুল ইসলাম সেবকের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির পর সংঘর্ষ হয়।
এতে আশিক খাঁ নামে এক ছাত্রদল নেতা নিহত ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের দুজন কর্মকর্তা এবং কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ অন্তত ১০-১২ জন আহত হন।
কটিয়াদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাবিবুল্লাহ খান রূপালী বাংলাদেশকে জানান, এ ঘটনায় শাহ মোহাম্মদ আলী হায়দার বাবুল ও আব্দুল হান্নান নামে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে রোববার আদালতের সৌপর্দ করা হয়েছে। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।