পাবনা মেডিকেল কলেজ শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নবগঠিত ২২ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাদের অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (২৩ মার্চ) কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাসির এই কমিটির অনুমোদন দেন। তবে কমিটির ১১টি গুরুত্বপূর্ণ পদে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের নাম থাকায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসান শুভ আগে ছাত্রলীগের কলেজ হল শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও, সিনিয়র সহসভাপতি আমিমুল আহসান তনিম, সহসভাপতি রাহুল রায়, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ আল ফায়াদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, তাসরীফ আলম, স্বাধীন মিয়া, নাছির উদ্দীন নাবিল ও সামিন রাফিদ আরোহ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে।
নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসান শুভ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কখনো ছাত্রলীগ করিনি। তবে সেই সময় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কলেজে যারা সক্রিয় ছিলেন, তারা আমার অনুমতি ছাড়া আমাকে হল কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন।
নবনির্বাচিত সভাপতি সাগর মাহমুদ বলেন, তাদের অজান্তেই তারা ছাত্রলীগের হল কমিটিতে ছিলেন, কিন্তু জুলাই আন্দোলনে তারা পদত্যাগ করেছিলেন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। আন্দোলনের পরপরই তারা তাদের নাম থাকা নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আমাদের কাছে এর স্পষ্ট প্রমাণ ও ভিডিও আছে, তাই এটি নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।
এদিকে, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাসির এই বিতর্ক নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
এই ঘটনায় ছাত্রদলের অভ্যন্তরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে এবং অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাদের ছাত্রদলের গুরুত্বপূর্ণ পদে অন্তর্ভুক্তি কতটা যৌক্তিক। ছাত্রদলের মধ্যে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এই বিতর্কের সুরাহা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।