নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় এক ছাত্রদল নেতাকে হত্যার পরিকল্পনার মোবাইল অডিও রেকর্ড ফাঁস হওয়ার ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে গণমাধ্যমকর্মীদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রদল নেতা মো. কামরুল হাসান আকাশ। তিনি নিজেই বাদী হয়ে গত শুক্রবার (২১ মার্চ) কবিরহাট থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
ছাত্রদল নেতা আকাশ কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নবগ্রামের আব্দুল গনির ছেলে এবং চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
অভিযুক্তরা হলেন- আব্দুল হাকিম সুজন (৩৮), একই গ্রামের আবদুল আলী ওরফে ধনু মেম্বারের ছেলে ও ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব ও মৃত বসু মাঝির ছেলে সফি উল্যাহ ওরফে হেন্জু মাঝি, আব্দুল হাসেমের ছেলে আব্দুল মালেক (৫৫), মৃত মো. চৌধুরী মিয়ার ছেলে মো. ইউনুছ (৪৫)।
লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক দিন আগে ছাত্রদল নেতা আকাশকে হত্যার পরিকল্পনার একটি অডিও ক্লিপ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। অডিও ক্লিপে ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব আব্দুল হাকিম সুজন ও একই ইউনিয়ন যুবলীগ যুগ্ম আহ্বায়ক রিপনকে বলতে শোনা যায়, দম নগদে কাজ করতে হবে। এই কাজে ৫০ হাজার টাকা লাগলেও সুজন খরচ করবে।
যুবদল নেতা সুজন বলে, এলাকার বাহিরে ঘটনা করবে, কেউ কিছু বলতে পারবে না। বাড়ি থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে তাকে হামলা করবে। যুবদল নেতা সুজনকে যুবলীগ নেতা রিপনকে বলতে শোনা যায় আমি সংগ্রাম করছি আপনাদের জন্য। ও ছেলেদের একসাথ করছে আমার কন্টোল করতে কষ্ট হচ্ছে।
এছাড়া ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট সন্ধ্যার দিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে আকাশের ওপর হামলা চালায় সুজন ও তার লোকজন।
যোগাযোগ করা হলে ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব আব্দুল হাকিম সুজন ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপের ভয়েস তার বলে নিশ্চিত করেন। যুবলীগ নেতা রিপন কিছুদিন আগে মারা যায়।
তবে যে কথা হয়েছে সেটা ছাত্রদল নেতা আকাশকে নিয়ে নয়। সেখানে কথা হয়েছিল তার ভগ্নিপতিকে নিয়ে। কিছু দিনের মধ্যে তার বোনকে সেই ঘর থেকে নিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
কবিরহাট থানার ওসি মো. শাহীন মিয়া বলেন, ছাত্রদল নেতার পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :