বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫

চরফ্যাশন-চট্টগ্রাম নৌরুটে চলছে বিলাসবহুল যাত্রীবাহী জাহাজ

আরিফ হোসেন, চরফ্যাশন (ভোলা)

প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৫, ০৫:২৪ পিএম

চরফ্যাশন-চট্টগ্রাম নৌরুটে চলছে বিলাসবহুল যাত্রীবাহী জাহাজ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ভোলার চরফ্যাশন-চট্টগ্রাম নৌরুটে এমভি বারো আউলিয়া ও এমভি কর্ণফুলি এক্সপ্রেস নামে দুটি বিলাসবহুল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত জাহাজ চালু হয়েছে। এতে করে এই নৌরুটে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ হবে বলে আশাবাদী যাত্রীসহ স্থানীয়রা। যেখানে চরফ্যাশন থেকে চট্রাগ্রামে সড়ক পথে বাসে যেতে সময়ের প্রয়োজন ছিল ১২-১৪ ঘন্টা সেখানে জাহাজ চালু হওয়াতে এখন সময় লাগে মাত্র ৮ ঘন্টা।

জানা যায়, গত ২০ মার্চ থেকে চালু হয়েছে এই নৌরুটে জাহাজ চলাচল। প্রতিদিন একটি আসবে, একটি যাবে। পথে লালমোহন, তজুমদ্দিন ও মনপুরা ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে নোয়াখালীর হাতিয়ার ঘাট হয়ে চট্টগ্রামে যাবে।

চরফ্যাশনে বেতুয়া লঞ্চঘাট থেকে সকাল ৮টায় ছেড়ে বিকেল ৫টার মধ্যে চট্টগ্রামের সদরঘাটে পৌঁছবে। অপরদিকে সকালে ৮টার দিকে চট্টগ্রামের সদরঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে হাতিয়া, মনপুরা, তজুমদ্দিন, লালমোহন ও চরফ্যাশনের বেতুয়া লঞ্চঘাটে আসবে বিকাল ৫টার দিকে।

চরফ্যাশনের বেতুয়া ঘাট থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা করা যাত্রী মো. মহসিন মিয়া, ফিরোজ কবীর জানান, তারা আগে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ঘাট দিয়ে ফেরি ও সি সার্ভিসে করে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরী ঘাট হয়ে বাসে করে যেতেন। এতে তাদের প্রায় ১২-১৪ ঘণ্টা সময় লাগতো। এখন নৌপথে ভোলা থেকে চট্টগ্রাম যেতে মাত্র ৮ ঘণ্টা সময় লাগবে।

এমভি বার আউলিয়া জাহাজের ক্যাপ্টেন মো. ফরিদ হোসাইন তালুকদার জানান, যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ সেবাটি চালু করেছে কর্ণফুলী ক্রুজলাইন কর্তৃপক্ষ।

ভোলার চরফ্যাশনের বেতুয়া লঞ্চ ঘাট থেকে চট্টগ্রাম রুটে প্রতিনিয়ত এমভি বারো আউলিয়া ও এমভি কর্ণফুলি এক্সপ্রেস নামে দুটি বিলাসবহুল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত জাহাজ এই রুটে চলাচল করবে। এতে আসতে ও যেতে সময় লাগবে মাত্র ৮ ঘন্টা।

প্রতিদিন সকাল ৮টায় চট্টগ্রামের সদরঘাট থেকে জাহাজ হাতিয়া, মনপুরা, তজুমদ্দিন, লালমোহন ঘাট হয়ে চরফ্যাশনের বেতুয়া ঘাটে এসে পৌঁছাবে বিকেল ৫টায়। অপরদিকে বেতুয়া লঞ্চঘাট থেকে ৮টায় যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাবে চট্টগ্রামের উদ্দ্যেশে। সেখানে গিয়ে পৌঁছাবে বিকাল ৫টার দিকে।

তিনি আরও জানান, ‘আমাদের জাহাজে ৮৫০ যাত্রী ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। প্রথম দিন চট্টগ্রাম থেকে বেতুয়া পর্যন্ত প্রায় শতাধিক যাত্রী পরিবহন করেছি। আগামীতে আরও যাত্রী বাড়বে।’

আরবি/আবু

Link copied!