ঢাকা বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫

পাবনায় শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৫, ০৫:৪১ পিএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এবং এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।

সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত নাজমুল হোসেন (২৯) ফরিদপুর উপজেলা সদরের খলিশাদহ গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ ওরফে লেদুর ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর উপজেলা সদরের বনওয়ারীনগর আলীম মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী প্রতিদিনের ন্যায় গত ২০২২ সালের ২ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৬টার দিকে প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিলো। শিশুটি খলিশাদহ ওয়াবদা বাঁধের কাছে পৌছালে অজ্ঞাত এক ব্যাক্তি শিশুটিকে জোরপূর্বক ধরে পাশবর্তী শরিফুল ইসলামের পরিত্যাক্ত বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে ওই দিনই নাজমুল হোসেনকে অভিযুক্ত করে ফরিদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন ফরিদপুর থানার বর্তমানে ব্রাক্ষণবাড়িয়া থানার ওসি (তদন্ত) তানভীর আহমদ জানান, ঘটনার পর ঘটনাস্থানের আশেপাশের কয়েটি স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে কয়েক জনের ছবি সংগ্রহ করে ধর্ষনের শিকার শিশুটিকে দেখালে শিশুটি নাজমুল কে সনাক্ত করে।

মামলার চারদিন পর তথ্য প্রসুক্তির সাহায্যে নাজমুল হোসেনকে সিরাজগঞ্জ জেলা সদর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তিতে ডিএনএ পরিক্ষার মাধ্যমে ধর্ষনের প্রমান পাওয়ায় নাজমুলকে অভিযুক্ত করে ২০২৩ সালের ১৯ মে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করি।

আদালতের বিচারক উভায় পক্ষের র্দীঘ শুনানী ও স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে সোমবার (২৪ মার্চ) এই রায় ঘোষণা করেন।

সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট নাজমুল হাসান শাহীন ও আসামী পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ রেন্টু।

রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে অ্যাডভোকেট নাজমুল হাসান শাহীন বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা আদালতের এই আদেশে খুশি।

তবে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আসামি পক্ষের অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ রেন্টু। তিনি বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে আমার মোক্কেল ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো। আশা করি- সেখানে আমার মোক্কেল ন্যায় বিচার পাবেন।