ঢাকা বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫

‘অন্য বিষয় নিয়ে ঝামেলা করবেন না’

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৫, ০৫:৪৬ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ঝিনাইদহ জেলা রেজিস্ট্রার অফিসে নিজ কক্ষে নেই জেলা রেজিস্ট্রার মো. সাব্বির আহমেদ। অফিস সহকারী মো. রবিউল ইসলাম‌ আপন মনে তার টেবিলে বসে কম্পিউটারে কাজ করছেন। অফিস প্রধানের কক্ষের সামনে পুরাতন ফাইলপত্র ও অন্যান্য কাগজপত্র মেপে বস্তায় ভরতে ব্যস্ত ভাঙারি ব্যবসায়ী।

রোববার দুপুরে সরেজমিনে ঝিনাইদহ জেলা রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে দেখা যায়, অফিসের ফাইলপত্র বিক্রি করছেন অফিসের লোকজন। সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি বুঝতে পেরে তড়িঘড়ি করে বস্তাবন্দি করে নিয়ে দ্রুত চলে যায় সেখান থেকে। এ বিষয়ে জানতে জেলা রেজিস্ট্রারের অফিস কক্ষে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। অফিস সহকারী রবিউল ইসলাম জানান, জেলা রেজিস্ট্রার অফিসের কাজে বাইরে আছেন।

রেজিস্ট্রি অফিস ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দুর্নীতি ওপেন সিক্রেট। সরকার বদল হলেও দুর্নীতি কমেনি বরং বেড়েছে। বেশি টাকা দিলেই নামে ভুল ও অন্যান গুরুতর অসঙ্গতি থাকা জমিও করা যাচ্ছে রেজিস্ট্রি। অভিযোগ রয়েছে নানা অনিয়ম দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে ঝিনাইদহের সকল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলো। আর অনিয়ম দুর্নীতির সুযোগ দিয়ে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন জেলা রেজিস্ট্রার সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। 

জেলা রেজিস্ট্রার অফিসের অফিস সহকারী মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, স্যার আমার কাছে গত বৃহস্পতিবার যাওয়ার আগে বলে গেছেন তিনি অফিসের কাজে হেড অফিসে থাকবেন এ কয়দিন। তিনি মৌখিক ছুটি নিয়ে গেছেন। আপনারা বরং যে তথ্য নিতে এসেছেন সেই তথ্য নিয়ে চলে যান। অন্য বিষয় নিয়ে ঝামেলা করবেন না।

জেলা রেজিস্ট্রার সাব্বির আহমেদের ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল করে দৈনিক রূপালী বাংলাদেশের প্রতিবেদক পরিচয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ছুটিতে বাড়িতে রয়েছি। পরে তিনি কোন পত্রিকার সাংবাদিক পুনরায় জানতে চেয়ে কলটি কেটে দেন। পরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে জানতে রেজিস্ট্রি অফিসসমূহের পরিদর্শক, খুলনা বিভাগ ও অতিরিক্ত দায়িত্ব অডিট মোঃ মাহফুজুর রহমান খাঁনের নিকট সোমবার মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ঝিনাইদহ জেলা রেজিস্ট্রার আমাকে আজকে ফোন করে জানিয়েছেন তিনি ছুটিতে। এবিষয়ে কোন লিখিত চিঠি নেই। বিষয়টি আমি দেখব বলে জানান তিনি।