বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুমাম কাদের চৌধুরী বলেছেন, ‘আমার বাবা কারাগারে যাওয়ার পর থেকে রাঙ্গুনিয়ার রাজনীতিতে গ্রুপিং শুরু হয়ে গেলো। এই গ্রুপিং যদি ঠিকে থাকে, তবে বিএনপি কখনো নির্বাচনে জিতে আসতে পারবে না।
তাই এই গ্রুপিং রাজনীতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে৷ বিএনপির যেকোনো নেতার বিরুদ্ধে আমাদের কোন ছেলে ফেলে যদি পোস্ট দেয়, কোন ধরণের বিরূপ মন্তব্য করে, তাদের বিরুদ্ধে আমি কঠিন ব্যবস্থা নিবো।
আমরা চাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল যেভাবে করে জিয়াউর রহমান গঠন করেছিলো, যেভাবে বেগম খালেদা জিয়া পাহাড়া দিয়েছিলো। যেভাবে তারেক রহমান এই দলকে ঘুচিয়ে রেখেছে, ঠিক একইভাবে আমরা চাই একটা পরিবার হয়ে যেনো আমাদের রাজনীতিকে এগিয়ে নিতে পারি।’
সোমবার (২৫ মার্চ) বিকালে উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের মোগলের হাট এলাকায় হোসনাবাদ ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, "অনেকে জিজ্ঞেস করে গত ১৬ বছর বিএনপি কোথায় ছিলো, মুরব্বিরা সুন্দরভাবে বলে আমরা রাজপথে ছিলাম, আন্দোলনে ছিলাম। কিন্তু যখন আমাকে জিজ্ঞেস করে, তখন আমি জবাব দেই, গত ১৬ বছর ধরে আদালতের অঙ্গনে অঙ্গনে ঘুরে বেড়িয়েছি, নিজের বাবাকেও অতবেশি দেখিনি, যতবেশি আইনজীবিকে দেখেছি৷
আইনাঘরে ছিলাম আমরা, জেলে ছিলাম আমরা, ভাইদের জানাজায় পড়ছিলাম আমরা। ১৬ বছর ধরে রাজপথের আন্দোলনে ছিলাম আমরা৷"
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এডভোকেট কামাল হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ইমাম হোসেন চৌধুরী ও মোহাম্মদ সামশুল আলমের যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উত্তরজেলা বিএনপির সদস্য শওকত আলী নূর, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ মহসিন, উত্তরজেলা যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি ইউসুফ চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, কেন্দ্রীয় জিয়ামঞ্চ সহ সভাপতি ওয়াকিল আহমেদ তালুকদার, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক একতিয়ার হোসেন, উত্তরজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি ভিপি আনছুর উদ্দিন, শাহেদ কামাল, মাকসুদুল হক চৌধুরী মাসুদ, ফারুকুল ইসলাম, সৈয়দ সাবেরুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আবু বক্কর প্রমুখ।
হুমাম কাদের চৌধুরী বলেন, ‘ফেসবুকে একটা পোস্টে দেখলাম, `বাবার নাম বিক্রি করে আর কতদিন রাজনীতি করবি।` তার জবাব দিচ্ছি আজ। বাপের নাম যদি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী হয়, তখন লজ্জা লাগে না। বাপের নাম সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী হলে আপনিও বেচতেন।’
এদিকে হুমাম কাদের চৌধুরী ইফতার মাহফিলে যোগ দেয়ার পূর্বে বৃহত্তর হোসনাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম চৌধুরী (নুরুল চৌধুরী) ও সাবেক চেয়ারম্যান ইউনুচ তালুকদারের কবর জেয়ারত করেন এবং ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আপনার মতামত লিখুন :