সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মদের বোতল হাতে একটি কক্ষের ভিডিও ভাইরালের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝিনাইদহ জেলা শাখার সদস্য সচিব সাইদুর রহমান ও মুখপাত্র এলমা খাতুনের সদস্য পদ স্থগিত করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে পদ স্থগিতের বিষয়টি আহ্বায়ক আবু হুরায়রা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়।
একইসঙ্গে বিষয়টি তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জামা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝিনাইদহ শাখার সদস্য সচিব ও মুখপাত্রের একটি ভিডিও নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়।
১ মিনিট ১২ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, ‘ব্যাগ হাতে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র এলমা খাতুন একটি কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। এরপর তার সঙ্গে থাকা ব্যাগটি রেখে খাটের ওপর বসেন।
ওই খাটে তার পাশে শুয়ে ছিলেন জেলার সদস্য সচিব সাইদুর রহমান। পরে মদের বোতল হাতে নেন এলমা খাতুন।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার আহ্বায়ক আবু হুরাইরা বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের পদ স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া বিষয়টি তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ওই কক্ষে সেসময় আরও অনেকে ছিল। তাদের মধ্যেই কেউ একজন ভিডিওটি ধারণ করেছে এবং ছড়িয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর বিষয়ে জানতে মুখপাত্র এলমা খাতুনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে সদস্য সচিব সাইদুর রহমান বলেন, গেল বছরের অক্টোবরে জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনের সময় কেন্দ্র থেকে একজন প্রতিনিধি আমাদের ডেকেছিলেন। তখন আমরা ঢাকা গিয়েছিলাম।
আপুর হাতে কিসের বোতল ছিল সেটা তখন আমি বুঝতে পারিনি। কেউ শত্রুতা বশত এ কাজটি করেছে।
সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করাই ছিল তার মূল কাজ।
বিষয়টি সম্পর্কে সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক) সভাপতি অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান টুকু বলেন, বিষয়টি সত্যি খুবই দুঃখজনক।
তাদের কাছ থেকে এটা আমরা প্রত্যাশা করি না। তবে কেন, কি কারণে এবং কারা এ ভিডিওটি করেছে, তাদের উদ্দেশ্য কি ছিল সেটিও খুঁজে বের করা জরুরি।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সদস্য সচিব সাইদুর রহমান ও মুখপাত্র এলমা খাতুনের অগ্রণী ভূমিকা ছিলো।
