৬৬ বছরের বৃদ্ধকে বিয়ে করলেন তরুণী

৬৬ বছরের বৃদ্ধ নানাকে বিয়ে করে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন ২২ বছরের এক কলেজ ছাত্রী। এমন একটি বিয়ের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাটি লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌরসভার দক্ষিণ কোর্টতলি এলাকার।

গত ২ মার্চ রাতে ওই এলাকার শরিফুল ইসলাম (৬৬) উপজেলার কুচলিবাড়ি ইউনিয়নের নজরুল ইসলামের মেয়ে আইরিন আক্তারকে (২২) বিয়ে করেন। আইরিন স্বেচ্ছায় বৃদ্ধ শরিফুলকে বিয়ে করেন বলে জানান।

জানা গেছে, আইরিন আক্তারের সাথে ওই বৃদ্ধ শরিফুলের দীর্ঘদিনের পরিচয়। আইরিন আক্তার টাঙ্গাইলের একটি নার্সিং কলেজে পড়াশোনা করেন। পড়াশোনার সুবাদে শরিফুলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। আর তার পড়াশোনার সমস্ত খরচ বহন করে আসছেন শরিফুল। তার পড়াশোনার খরচ বহন করতে শরিফুল ইসলাম ব্যাংকের ছয় লাখ টাকা ডিপোজিট করেন। সেই টাকা প্রতি মাসে লভ্যাংশ তুলে আইরিন আক্তারের পড়াশোনার চালান।

ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির মূলহাতা আটক

বিস্তারিত পড়ুন

বিগত ১৫ বছরে পূর্বে বৃদ্ধ শরিফুল ইসলামের স্ত্রী মারা যান। সে থেকেই তিনি একা হয়ে পড়েন। এলাকায় বৃদ্ধ শরিফুল ইসলাম কারও দাদা আবার কারও নানা হিসেবে পরিচিত।

আইরিনের বাবা নজরুল ইসলাম এ বিয়েতে রাজি নন। মেয়ে জোর করে অন্য জায়গায় বিয়ে দেওয়ার ভয়ে আইরিন আক্তার রফিকুল ইসলামকে বিয়ে করেন।

স্থানীয়রা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আইরিনের পড়াশোনাসহ ভরণপোষণ দিয়ে আসছেন বৃদ্ধ শরিফুল। কিন্তু তারা যে বিয়ে করবে এটা কখনো অবিশ্বাস্য ছিল। পরে আমরা জানতে পারলাম তারা ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক বিয়ে করেছে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

মদের বোতল হাতে আলোচিত দুই সমন্বয়কের পদ‌ স্থগিত

বিস্তারিত পড়ুন

আইরিন আক্তার বলেন, কয়েক বছর ধরে নিজের ভগ্নিপতির নানা হিসেবে তার সাথে পরিচয়। তখন থেকে তার সাথে চলাফেরা এবং পড়ালেখার খরচ বহন করছেন বৃদ্ধ শরিফুল। বন্ধুর মতো সবসময় পাশে ছিলেন তিনি। মেয়ের পরিবার থেকে অন্য কোথাও বিয়ের কথাবার্তা চললেই তাৎক্ষণিক সেই ৬৬ বছর বয়সের বৃদ্ধ শরিফুল ইসলাম তার পরিবারকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এমন অবস্থায় এ বিয়েতে আইরিনের বাবা রাজি না হলেও তার ভাই ও মা বিয়ে দেন। এরপর থেকে সামাজিক মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

শরিফুল ইসলাম বলেন, আইরিন ছোট থেকেই অনেক মেধাবী ছাত্রী ছিল। আমি তার পড়াশোনার সহায়তা করছি। সে আমাকে নানা বলে ডাকে। সে আমাকে হুট করে বিয়ে করবে আমি ভাবতেই অবাক হয়েছি। আমি হতবাক হয়ে কয়েকদিন তাকে বুঝার সময় দিয়েছি। কিন্তু সে কোনভাবেই মানেনি, আমাকেই সে বিয়ে করবে। তাই আমি বাধ্য হয়ে বিয়েতে রাজি হয়েছি। আমাদের জন্য দোয়া করবেন দাম্পত্য জীবন যেন সুখের হয়।