মৃত্যুর আড়াই মাস পর এক ব্যক্তির নামে জুলাই ছাত্র-জনতার ওপর হামলা মামলার আসামি করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি ছিলেন রাজশাহী মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবদুল মান্নান।
গত রোববার রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানায় এই মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় আবদুল মান্নানকে ৫৮ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
মামলাটি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কর্মী আব্দুল আলীম দুলাল।
মামলার প্রধান আসামি হিসেবে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারকে নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া রাজশাহী-৩ আসনের সাবেক এমপি আয়েন উদ্দীন এবং রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সাবেক স্বতন্ত্র এমপি শফিকুর রহমান বাদশার ছেলে রুয়েট কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান দীপনসহ ১২৭ জন আসামির নাম তালিকায় রয়েছে।
এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ডা. আবদুল মান্নান মুক্তিযোদ্ধা সংসদের রাজশাহী মহানগর কমান্ডার ছিলেন এবং আওয়ামী লীগের বোয়ালিয়া থানা এলাকায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
তিনি গত ১৭ জানুয়ারি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এবং পরদিন রাজশাহীর টিকাপাড়া গোরস্তানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর দাফন হয়।
এ বিষয়ে বাদী আব্দুল আলীম দুলালের ভাই শফিকুল ইসলাম বলেন, তার ভাই ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন এবং এই হামলার ঘটনায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
তবে, মৃত ব্যক্তিকে আসামি করার বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি । তিনি জানান, এ বিষয়ে জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে।
বোয়ালিয়া থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, মামলায় মৃত ব্যক্তির নাম রয়েছে কি না তা তিনি জানেন না। তবে তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।