কুষ্টিয়ায় শত শত ভক্তের উপস্থিতিতে বারুণী স্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরম পূজনীয় শ্রীগুরুদেব অধ্যাপক প্রভুপাদ দিবাকর গোস্বামীর পরিচালনায়, ২৭ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে কুষ্টিয়া শহরস্থ বড়বাজার সংলগ্ন গড়াই নদীতে এ বারুণী স্নান অনুষ্ঠিত হয়। শ্রীগুরুদেব দিবাকর গোস্বামীর শিষ্য-ভক্তগণের উপস্থিততে এ বারুণী স্নানে মহামিলন মেলায় পরিণত হয়।
স্কন্দ পুরাণ মতে, যে চৈত্রমাসের কৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে শতভিষা নক্ষত্র যোগ হলে সেই তিথি বারুণী নামে পরিচিত। হিমালয় কন্যা গঙ্গার অপরনাম বারুণী। বারুণী স্নান এখানে গঙ্গা স্নানেরই প্রতিরুপ।
এ বিষয়ে গুরুবোন গার্গী গোস্বামী জানিয়েছেন, স্কন্ধপুরাণসহ বিভিন্ন শাস্ত্রে রয়েছে বারুণী তিথিতে গঙ্গা স্নানে শত সূর্যগ্রহণ স্নান জনিত পুন্য ফল লাভ হয়। মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশীতে শতভিষা নক্ষত্র যুক্ত হয়ে বারুণী তিথি সৃষ্টি করে।
এই তিথিতেই অদ্বৈত আচার্য প্রভু সপ্ত তীর্থ ও পতিত পাবনী গঙ্গা দেবীকে মাতৃ স্নানের নিমিত্তার্থে আহ্বান করে এনেছিলেন রেণুকা নদীতে। বর্তমানে বাংলাদেশের সুনামগঞ্জের আহিরপুরে এ তীর্থ অবস্থিত।