ঢাকা সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০২৫

স্বল্প আয়ের মানুষ ছুটছে ফুটপাতের দোকানে

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৫, ১২:৫২ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের কেনাবেচার ব্যস্ততা। বিত্তবানরা শহরের মার্কেট আর বিপণি বিতানগুলোতে কেনাকাটা করলেও স্বল্প আয়ের মানুষরা ছুটছেন ফুটপাতের দোকানগুলোতে।

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরশহরের বাজারের দয়াল মার্কেট, পুরাতন কাপড় মার্কেট, খন্দকার মার্কেট, মন্ত্রী মার্কেটসহ বেশ কয়েকটি বিপণি বিতান এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিপণি বিতানগুলোতে কেনাকাটার ভিড়। পাশাপাশি ভূমি অফিস সংলগ্ন ফুটপাত দোকানগুলোতে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের মানুষের ভিড়।

ফুটপাতের দোকানগুলোতে ৩০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে শিশু, নারী ও বয়স্কদের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে, যা কিনতে মার্কেটে লাগে ৮০০ টাকা থেকে ২০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত। ফুটপাতে তৈরি পোশাক, শাড়ি, লুঙ্গি, জুতা, কসমেটিকসহ ঈদে ব্যবহারের নানা পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। ফুটপাতের দোকানগুলোতে নারী ক্রেতাদের ভিড় সবচেয়ে বেশি।

স্থানীয় একটি বেসরকারি কলেজের অফিস সহায়ক (পিয়ন) আব্দুর রহিম বলেন, সন্তানদের জন্য ঈদের কাপড় কেনার জন্য আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষের ফুটপাতের দোকানগুলোই ভালো। কারণ এখানে আমাদের মতো মানুষের কথা চিন্তা করেই দোকানিরা মালামাল রাখেন। আর মার্কেটের বড় বড় দোকানে কাপড়ের যে দাম আমাদের পক্ষে কেনা সম্ভব না।

ফুলবাড়ী ভূমি অফিস সংলগ্ন ফুটপাত মার্কেটে শিবনগর গ্রামের গৃহবধূ রোকেয়া বেগম দুই শিশু ছেলেমেয়েকে নিয়ে ঈদের কাপড়সহ অন্যান্য জিনিসপত্র কিনতে এসেছেন।

তিনি জানান, স্বামীর যা আয় রোজগার তার সবটাই কৃষির ওপর নির্ভর করেই। তার ওপর আবার এ বছর আলুতে লোকসান খেতে হয়েছে। তারপরও বছরের ঈদের নতুন জামা কাপড়সহ অন্যান্য দ্রব্যাদি কিনতে ফুলবাড়ীতে এসেছেন। শহরের বড় বড় দোকানে তাদের কাপড় কেনা খুব কষ্টকর, তাই ফুটপাত মার্কেট থেকেই ছেলেমেয়ে, নিজের এবং স্বামীর জন্য জামা ও লুঙ্গি কিনেছেন।

ফুটপাত মার্কেটের প্রবীর ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী প্রবীর চন্দ্র বলেন, অন্য বছরগুলোর চেয়ে এ বছর ব্যবসা একটু কম। কারণ কৃষক চাহিদানুয়ায়ী আলুর দাম পায়নি আর চলছে ইরি-বোরো চাষ মৌসুম। এসব কারণে কৃষকের হাতে টাকা পয়সা না থাকায় বিক্রি নেই। তবে এক শেষ সময়ে বাড়তে পারে।

ফুলবাড়ী থানার ওসি একেএম খন্দকার মহিব্বুল বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পৌর এলাকাসহ উপজেলার প্রত্যেক এলাকার মার্কেট, শপিংমলসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে।

ফুলবাড়ী পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মাদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, পৌর শহরের প্রত্যেকটি মার্কেট ও শপিংমলের দিনরাতে যানজট নিরসনসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৬জন আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশ সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।