ঢাকা সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০২৫

তা’মিরুল মিল্লাত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু ইউসুফ বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৫, ০৪:১১ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) খাতামূল্যায়নে জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাতসহ নানা অভিযোগসহ প্রমাণিত হওয়ায় তা’মিরুল মিল্লাত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মাওলানা মুহাম্মদ আবু ইউসুফকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনা ২০টি অভিযোগ তদন্ত শেষে তদন্ত কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাদ্রাসাটির গভর্নিং বডি।

তা’মিরুল মিল্লাত মাদ্রাসার গভনিং বডির সভাপতি অধ্যাপক ড. কোরবান আলী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সম্প্রতি এই বরখাস্তের খবর জানানো হয়।

বরখাস্তের আদেশ ও তদন্ত রিপোর্ট যাচাই করে দেখা যায়, মাদ্রাসার অনেক সিনিয়র শিক্ষক থাকা সত্তেও মাদ্রাসা বোর্ডের প্রশ্ন প্রণয়ন, মডারেশন ও উত্তরপত্রের করাতেন তার আস্থাবাজন সহকারী অধ্যাপক মাওলানা শরীফুল ইসলামকে দিয়ে। তাকে এই কাজে সহযোগীতা করতেন ননএমপিওভুক্ত সেকশন অফিসার শরীফ মাহমুদ। ফিকাহ বিভাগের এই খাতা অধ্যক্ষ ইউসুফ নিজে মুল্যায়ন না করে দায়িত্ব দেয় শরীফ মাহমুদকে। যা পুরোটা আইন বহিভূত।

এছাড়াও এনটিআরসির অধীনে মাদ্রাসাটির ফিকহ বিভাগের প্রভাষক নিসেবে নিজের লোক নিয়োগ দিয়ে পদটি কৌশলে খালি রাখেন তিনি। পরে এই পদে নিয়োগের জন্য প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে তা ফাঁস করান বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষ ড. মাওলানা মুহাম্মদ আবু ইউসুফ। অভিযোগটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রীয়কাজে সর্বোচ্চ অনৈতিক ও দুর্নীতি বলে মনে করছেন তদন্ত কমিটি।

অধ্যক্ষ ড. মাওলানা মুহাম্মদ আবু ইউসুফ জাতিয়াতি ও অনিয়ম একজায়গাতেই সীমাবদ্ধ নয়। নানা কৌশলে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগের প্রমাণও পেয়েছে কমিটি।   
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ ড. মাওলানা আবু ইউসুফ বলেন, বরখাস্তের কাজটি লিগাল ফ্রেমে হয়নি। কোন বিষয়ে অভিযোগ থাকলে প্রথমে তাকে শোকজ দিতে হয়। তারপর শোকজের জবাবে সন্তুষ্ট না হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায়। কিন্তু আমার ব্যাপারে সেরকম হয়নি, আমাকে সরাসরি বরখাস্ত করা হয়েছে। এটিও আইনত হয়নি।