সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০২৫

কুলাউড়ায় তিন জলমহাল পুনরুদ্ধার করলো প্রশাসন

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৫, ০৪:১৪ পিএম

কুলাউড়ায় তিন জলমহাল পুনরুদ্ধার করলো প্রশাসন

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় দীর্ঘদিন অবৈধ দখলে থাকা ৩৫ একরের ৩টি জলমহাল পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। গত ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেনের দৃঢ় পদক্ষেপে এগুলো পুনরুদ্ধার করে সরকারি রেজিস্ট্রারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা স্থানীয় প্রশাসনের জন্য একটি বড় সাফল্য।

ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নে অবস্থিত অন্যতম ঐতিহ্যবাহী জলমহাল বিন্দারাণীর ৭ একরের দিঘি ২০১৪ সাল থেকে প্রভাবশালী একটি গোষ্ঠীর দখলে ছিলো।

বিভিন্ন মামলা জটিলতার কারণে সরকার এটি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারছিলো না। অবশেষে দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে দিঘিটি পুনরুদ্ধার করা হয়।

পরবর্তীতে উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে ২ লাখ ৫০০ টাকায় ৩ মাসের জন্য দিঘিটি ইজারা দেওয়া হয়। দীর্ঘ ১১ বছর পর ওই ঐতিহাসিক দিঘিটি পুনরায় সরকারি নিয়ন্ত্রণে আসায় স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি দেখা গেছে।

অপরদিকে কাদিপুর ইউনিয়নে অবস্থিত ২ একরের হ্যালিপ্যাড পুকুর সরকারিভাবে রেজিস্ট্রারভুক্ত করার মাধ্যমে এবারই প্রথম সরকারি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

দীর্ঘদিন স্থানীয় একটি রাজনৈতিক মহল পুকুরটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে মাছ আহরণ করতো। উপজেলা প্রশাসনের কঠোর উদ্যোগে এটি অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়।

দখলমুক্তের পর প্রথমে সরকারি ব্যবস্থাপনায় মাছ আহরণ ও বিক্রির মাধ্যমে সরকারি মালিকানার ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে জেলা প্রশাসকের অনুমোদন নিয়ে এটি সরকারি রেজিস্ট্রারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

ইতোমধ্যে ইজারা দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ হয়েছে।

এ ছাড়া ভূকশিমইল ইউনিয়নে অবস্থিত ২৬ একরের কাটুয়া বিল স্থানীয় প্রভাবশালী মৎস্যজীবীরা অবৈধভাবে দখলে রেখে প্রতিবছর ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করতেন। ফলে সরকার বিপুল রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলো।

সম্প্রতি বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে এলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরেজমিন তদন্ত করে রেকর্ডপত্র যাচাইয়ের পর সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার বিলটিকে সরকারি জলমহাল হিসেবে অনুমোদন দেন। ফলে সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধির নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেন বলেন, উপজেলা ভূমি অফিসের মাধ্যমে জলমহালগুলো দখলমুক্ত করা হলো। এটি আমাদের বড় অর্জন। অবৈধ দখলমুক্ত করে সরকারি সম্পদ ফিরিয়ে আনার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

আরবি/জেডআর

Link copied!